সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারীর (Pandemic) এই সময়ে বন্ধুত্বের অন্যতম উদাহরণ হয়ে উঠল কেরলের (Kerala) এক প্রয়াত মাহুত ও তাঁর হাতি। মানুষ ও অবলা পশুর ২৫ বছরের বন্ধুত্বের সাক্ষী হলেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা। অনেকেই আবেগে ভাসলেন ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি দেখে।
[আরও পড়ুন: করোনা কালে জনসেবায় কী কী করেছে দল? রিপোর্ট নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি]
কেরলের পালা এলাকার বাসিন্দা দামোদরন নায়ার (Damodaran Nair)। এলাকায় ওমানাচেত্তন হিসেবেই বেশি পরিচিত তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মাহুতের কাজ করেছেন দামোদরন। আর এই কাজে তাঁর সঙ্গী ছিল বৃহমাদাতন (Brahmadathan)। প্রিয় হাতির বিশাল দেহে চড়েই পালা এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন দামোদরন। দিনের বেশিরভাগ সময় একসঙ্গেই কাটত দু’জনের। নিজের খাবারের আগে বৃহমাদাতনের খাবারের চিন্তা করতেন দামোদরন। দু’জনের বন্ধুত্বে ছেদ পড়ে ক্যানসারের মারণ কোপে। কর্কট রোগে কাবু হয়ে যায় দামোদরণের শরীর। চিকিৎসা করিয়েও কোনও ফল হয়নি। নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস করেন কেরলের মাহুত।
তাঁর শেষকৃত্যের আগে যেন বৃহমাদাতনকে একবার আনা হয়, এই ইচ্ছে ছিল দামোদরনের। সেই কথার মান রেখে বৃহমাদাতনকে নিয়ে আসে তাঁর বর্তমান মালিক রাজেশ পালাত্তু। পুরনো বন্ধুর মৃতদেহ দেখে এগিয়ে আসে গজরাজ। ক্রমাগত শুঁড় নাড়িয়ে তাঁকে ডাকতে থাকে। দামোদরণের পরিবারের সদস্য এগিয়ে এসে বৃহমাদাতনের গায়ে হাত বুলিয়ে দেন। শুঁড় তুলে মাহুত বন্ধুকে প্রণাম করে বৃহমাদাতন। তারপর চোখের কোনে জল নিয়ে সেখান থেকে বিদায় নেয়। যাওয়ার সময় অনেকটা সময় দামোদরনের মৃতদেহের দিকে মুখ করেই পিছিয়ে যায় বৃহমাদতন। মানুষ ও পশুর এই বন্ধুত্ব দেখে আবেগঘন হয়ে ওঠেন উপস্থিত জনতা। অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।