স্টাফ রিপোর্টার: গায়ের জোরে রং মাখালে রাত কাটবে শ্রীঘরে। দোলের (Dol) জন্য এমনই কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। সেই আইনেই লেখা, ‘শারীরিকভাবে কাছে গিয়ে ধরে রং/আবির মাখাবেন না।’
যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, গায়ের জোরে কাউকে রং দেওয়া অপরাধ। কোথাও এমনটা হচ্ছে, খবর পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বাস্থ্য আধিকারিক অনির্বাণ দলুইয়ের কথায়, ”উত্তরোত্তর বাড়ছে সংক্রমণ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ বছর উৎসবে অংশগ্রহণ করতে হবে।” এদিকে, নিজেরা নিয়ম মেনে রং খেললেও রাস্তাঘাটে একটা আতঙ্ক থেকেই যায়। রাজপথে পথচলতি কাউকে চেপে ধরে রং মাখানোর দৃশ্য গা-সওয়া। জনস্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এ বছর এমন প্রবণতা না থাকাই শ্রেয়।
[আরও পড়ুন: ভেষজের মোড়কেই দেদার বিকোচ্ছে সাধারণ আবির! প্রতারণার শিকার আমজনতা]
বৃহস্পতিবারের ৫১৬ জন থেকে করোনা (Coronavirus)আক্রান্ত বেড়ে এক লাফে শনিবারে ৮১২। করোনা যেন হড়পা বানের তোড়। প্রতি মুহূর্তে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। শুধুমাত্র শহর কলকাতাতেই শনিবার আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৪ জন। অথচ মাত্র এক মাস আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গোটা রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২১০ জন। জনস্বাস্থ্য আধিকারিক অনির্বাণ দলুইয়ের গলায় শঙ্কা, “সংক্রমণ কী হারে বাড়ছে সরকারি তথ্যই বলে দিচ্ছে।” এমন আবহেই আজ দোল। বাঁধভাঙা রং খেলার হুল্লোড় তিনগুণ করে দিতে পারে দৈনিক সংক্রমণ। সেক্ষেত্রে ফের ২০২০ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে।
[আরও পড়ুন: অস্ত্রের ঘায়ে আহত তৃণমূল নেতার মেয়ে, বিজেপির বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় বিক্ষোভ]
রাজ্য সরকারের এই নয়া বিধিতে অনেকেই খুশি। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে এ বছর অগুনতি মানুষ রং খেলা থেকে বিরত থাকতে চান। তবে আশঙ্কা ছিল একটাই। দক্ষিণ শহরতলির অভিজাত এক আবাসনের বাসিন্দা নবারুণ হাজরার আশঙ্কা, “রং তো আমি খেলব না। কিন্তু দোকান-বাজারে যাওয়ার পথে অনেকেই জোর করে গায়ে রং লাগিয়ে দেন। দোলের দিন কিছু বলাও যায় না। এই যিনি জোর করে রং দিচ্ছেন তিনি আদৌ করোনা আক্রান্ত কি না বুঝব কী করে?” এমন অতি উৎসাহীদের বিরত করবে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের নয়া বিধি। শুধু গায়ের জোরে রংই নয়, কোনও ধর্মীয় স্থানে গেলে দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে না থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর।