সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করতে ইউক্রেনের (Ukraine) উদ্দেশে রওনা দিয়েছে এক হাজার চেচেন যোদ্ধা। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন, পুতিন ঘনিষ্ঠ চেচেন রিপাবলিকের প্রধান রমজান কাদিরভ। অতীতে বিরোধীদের শায়েস্তা করতে কাদিরভ বাহিনীকে কাজে লাগিয়েছেন পুতিন বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: কিছুতেই থামছে না যুদ্ধ, এবার দোনবাসে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করল রাশিয়া]
চেচেন রিপাবলিক রাশিয়ারই একটি অংশ। প্রথম ও দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধের পর থেকেই মুসলিম অধ্যুষিত প্রদেশটিতে নিরঙ্কুশ দখল কায়েম করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কুখ্যাত চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ কার্যত রুশ প্রেসিডেন্টের কথায় ওঠবোস করেন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে কাদিরভ বলেন, “চেচেন রিপাবলিকের এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক ইউক্রেনকে নাৎসি এবং সেনাবাদী চিন্তাভাবনা থেকে মুক্ত করতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে।” আপটি আলাউদিনভ নামে তাঁর বিশ্বস্ত অনুচর এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেও জানান কাদিরভ। এর আগে বহু বার কাদিরভের বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। দুর্ধর্ষ চেচেন যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ রয়েছে।
শুক্রবার ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসন ২৩ দিনে পা দিল। মস্কোর হামলায় বিপর্যস্ত ইউক্রেনের ১০টি শহর ইতিমধ্যেই দখল করেছে রুশ সেনা। আন্তর্জাতিক মঞ্চের কড়া অবস্থান ও নিষেধাজ্ঞার বিপুল বোঝা নিয়েও লড়াই থামাতে মোটেই প্রস্তুত নন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধ যে আপাতত থামছে না সেই কথা স্পষ্ট করে এবার দোনবাসে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করল রাশিয়া। শুক্রবার পশ্চিম ইউক্রেনের লিভিভ এয়ারপোর্টের কাছে মিসাইল হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। চেরনিহিভের মেয়র জানিয়েছেন, গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হামলায় ৫৩ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার মারিওপোলের থিয়েটারে বোমা হামলার পর এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়াকে তোপ দেগে ব্রিটেন দাবি করেছে, রাশিয়া ইউক্রেনে যা করছে তা যুদ্ধাপরাধ। সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে তারা। এর আগে মঙ্গলবার ক্রেমলিনের আগ্রাসনের নিন্দা করে সর্বসম্মত ভাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী বলে ঘোষণা করে আমেরিকার সেনেট। রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বিষয়টি প্রস্তাব করলে দলের দুই সেনেটর তাঁকে সমর্থন জানান। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আর্ন্তজাতিক অপরাধ আদালত এবং বাকি দেশগুলি সঙ্ঘাতের সময় ঘটা অপরাধগুলিতে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে উপযুক্ত তদন্ত চালাবে।