শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: সেনাশাসনের পরেও উত্তপ্ত বাংলাদেশ। পদ্মাপাড়ে লাশের সারি। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। অশান্ত বাংলাদেশ থেকে প্রাণভয়ে ভারতে চলে আসার চেষ্টায় হাজার হাজার নাগরিক। তাঁদের সামাল দিতে জলপাইগুড়ির দক্ষিণ বেরুবাড়ির মানিকগঞ্জ সংলগ্ন ধরধরা গ্রাম সংলগ্ন জিরো পয়েন্টে বাড়ল নিরাপত্তা।
বুধবার দুপুরে জলপাইগুড়ির দক্ষিণ বেরুবাড়ির মানিকগঞ্জ সংলগ্ন ধরধরা গ্রাম সংলগ্ন জিরো পয়েন্টে জড়ো হন প্রায় হাজার খানেক বাংলাদেশি। জিরো পয়েন্ট পার হয়ে তারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টায় রয়েছেন। তবে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া পদক্ষেপ বিএসএফের। সীমান্তে বাড়তি পাহারার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত সংখ্যায় বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।
[আরও পড়ুন: রাজ্য মন্ত্রিসভায় ফের রদবদল, দায়িত্ব বাড়ল একাধিক মন্ত্রীর]
গত রবিবার থেকে নতুন করে উত্তপ্ত ওপার বাংলা। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। তার পর থেকেই বাড়ছে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা। বিএসএফের গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি ও অশান্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ওই দেশের বহু বাসিন্দাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই বাংলাদেশ থেকে এক শ্রেণির মানুষ ভারত তথা এই রাজ্য়ে অনুপ্রবেশ করতে পারেন, এমন সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে অনুপ্রবেশ করতে পারে জঙ্গিরাও। বিএসএফ গোয়েন্দাদের মতে, প্রথমে অনুপ্রবেশ ঠেকানোই অত্যন্ত জরুরি। তাই সোমবার দুপুরের মধ্যে পুরো বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়।
পুরো বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাজুড়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়। অনুপ্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে যাতে অস্ত্র বা অন্য কোনও বস্তু পাচার না হয়, সেদিকেও রাখা হচ্ছে নজর। নদী সীমান্তের পাশে দিনের সঙ্গে সঙ্গে রাতেও অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে। তাঁদের হাতে রয়েছে নাইট ভিশন বাইনোকুলার। বিএসএফের দাবি, অন্ধকারেও যাতে নদী সীমান্ত পেরিয়ে কেউ না আসতে পারে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সতর্ক করা হচ্ছে ঘাট মালিকদের। নৌকার মাঝিদেরও সতর্ক করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা জলসীমা পেরিয়ে বাংলাদেশের দিকে না যান।