সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার সেরাম ইনস্টিটিউট ঘোষণা করেছে কেন্দ্র, রাজ্য এবং বেসরকারি হাসপাতাগুলিকে আলাদা আলাদা দামে করোনার টিকা (Corona Vaccine) বেচবে। এর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধে নেতারা তীব্র সমালোচনা শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের। টিকা নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তোলার পাশাপাশি দাবি করেছেন দেশের সবাইকে বিনা পয়সায় টিকা দিতে হবে। কেন্দ্র যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও রা কাড়েনি। তবে এর মধ্যেই গান্ধীগিরির পথে মোক্ষম জবাব দিতে শুরু করেছেন কেরলের মানুষ।
রাজ্যের সবাই যাতে বিনামূল্যে টিকা পান তার জন্য হঠাৎই কয়েক জন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা দান করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই খবর পোস্ট হতেই আরও মানুষ এগিয়ে এসেছেন স্বতস্ফূর্থ ভাবে। শুধু সে রাজ্যের বাসিন্দাই নয় বাইরের দেশ থেকেও অনেকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করতে শুরু করেছেন।
বুধবার প্রথমে কয়েক জন নেটিজেন এই ক্যাম্পেন শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, স্বেচ্ছায় তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করছেন। যদিও তাঁরা ইতিমধ্যেই টিকা পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেরলে থাকেন কেউ বাইরে। সবাই বিনা পয়সায় টিকা পেয়েছেন। কেরলের মানুষও যাতে বিনা পয়সায় টিকা পান তাই তাঁরা এই অর্থ দান করছেন।
[আরও পড়ুন: বালোচিস্তানে চিনা রাষ্ট্রদূতের হোটেলে হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তান তালিবানের]
এর পর এগিয়ে আসেন আরও মানুষ। এক নেটিজেন লিখেছেন, “কুয়েত সরকার আমাকে বিনামূল্যে টিকা দেবে। কেরলে আমার পরিবারও যাতে বিনামূল্যে টিকা পায় তাই আমিও অর্থ সাহায্য করব। টিকা কোনও পণ্য নয়। তাই আমি যেমন বিনামূল্যে টিকা পাচ্ছি তেমন আরও ১০ জন যাতে তা পান সেই অর্থ আমি দান করছি।”
আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে এই পোস্ট। একই রকম পোস্ট করেন আরও কয়েক জন। কিছুক্ষণের মধ্যে এক পুলিশ কর্মী মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করার সংশাপত্র পোস্ট করেন। সেই সঙ্গে তিনি লেখেন, “স্বাস্থ্য পরিষেবা নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার। মানুষের যখন সব থেকে বেশি প্রয়োজন ছিল তখন রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে থেকেছেন। তাই আমিও সরকারের পাশে থেকে ২টি টিকা ডোজের অর্থ দান করছি।”
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় এবার আসরে বায়ুসেনা, অক্সিজেন সরবরাহে নামল মালবাহী বিমান]
একের পর এক এমন আরও পোস্টে হয়ে চলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে কত অর্থ জমা হয়েছে তা জানা যায়নি।