সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মোদি সরকারের উপরে ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছে। নয়া আইন প্রত্যাহার ও কৃষকদের জন্য সুবিচারের দাবিতে উত্তাল ব্রিটেনের (Britain) রাজপথ। কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে গ্রেপ্তারও হলেন কয়েকজন আন্দোলনকারী।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় আন্দোলন চলছে। বিভিন্ন মহল থেকে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা এসেছে। কিন্তু সরকার এখনও তাঁদের দাবি মানেনি। বরং চলছে দর কষাকষি। ৯ তারিখ ফের বৈঠকের টেবিলে বসছে দুপক্ষ। তার আগে ৮ তারিখ ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা (Farmers)। সমর্থন এসেছে বিরোধী দলগুলি থেকেও। এমন আবহে কানাডা, ব্রিটেনের তরফ থেকেও কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা এসেছে। আর এই বিষয়টা মোদি সরকারের উপর যে চাপ বাড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।
[আরও পড়ুন : হোয়াইট হাউস ছাড়লেই জেলে যাবেন ‘বিশ্বাসঘাতক’ ডোনাল্ড, দাবি ট্রাম্পের ভাইঝির]
স্থানীয় সময় রবিবার সকাল থেকে মধ্য লন্ডন (London) ছিল উত্তপ্ত। কোভিডবিধির তোয়াক্কা না করেই ভারতীয় দূতাবাস, ট্রাফাগেল স্কোয়ার-সহ একাধিক এলাকায় জমায়েত করেন প্রতিবাদীরা। তাঁদের হাতে ছিল কৃষকদের সমর্থন পোস্টার। কারোর কারোর মাস্কে লেখা ছিল, ‘কৃষকদের জন্য সুবিচার চাই।’ ভারতীয় দূতাবাসের সামনে ওঠে স্লোগানও। এই বিক্ষোভের ঘটনায় ইতিমধ্যে ৩০ জনকে আটক ও মোটা অঙ্কের জরিমানা করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। অভিযোগ, কোভিডবিধি ভেঙেছেন বিক্ষোভকারীরা। উল্লেখ্য, লন্ডনে করোনা সংক্রমণ আটকাতে ৩০ জনের বেশি লোকের জমায়েতের অনুমতি নেই। তারপরেও কীভাবে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, “অনুমতি ছাড়া কীভাবে এতজন জমায়েত করলেন, তা খতিয়ে দেখতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। মূলত ভারত-বিরোধী মতাদর্শে বিশ্বাসীরা এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছে। তারাই দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।” উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে কানাডাতেও কৃষকদের সমর্থনে একাধিক ব়্যালি বেরিয়েছিল।
[আরও পড়ুন : ব্রিটেনে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ, শীঘ্রই ভ্যাকসিন নিতে পারেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ]
এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ, সোমবার সিঙ্ঘু সীমানায় গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। আম আদমী পার্টির তরফে জানানো হয়েছে, ওই সীমা্নায় কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা খতিয়ে দেখতেই যাচ্ছেন কেজরিওয়াল।