সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হুমকি সংস্কৃতি বা থ্রেট কালচার ঘিরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। জল গড়িয়েছে আদালতেও। এমনকী হাসপাতালেও তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে এই কমিটি। অভিযুক্ত পড়ুয়াদের ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বুধবার অর্থাৎ মহাষষ্ঠীর সন্ধেয় তাঁরা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন আর জি করের সাসপেন্ডেড পড়ুয়ারা। সাফ জানালেন, পরিস্থিতি না বদলালে পুজোর পর অনশনে বসছেন তাঁরা।
এদিন কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন সৌরভ দাস, অতনু বিশ্বাস-সহ আর জি করের ১৫ সাসপেন্ডেড পড়ুয়া। তাঁদের বিরুদ্ধে 'হুমকি' সংস্কৃতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত করেছে কলেজ কাউন্সিলের তৈরি করে দেওয়া কমিটি। যে কমিটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারি পড়ুয়ারা। সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁদের দাবি, "আমরাই ভিক্টিম। কমিটিতে যারা রয়েছে তাঁদের সঙ্গে আমাদের বিবাদ পুরনো। যারা তদন্ত কমিটিতে রয়েছে তারা বদলার রাজনীতি করছে। তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধেই তদন্ত চাইছি আমরা।" তাঁদের আরও অভিযোগ, রাজ্যের মানুষের কথা ভেবে কাজে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিছু আন্দোলনকারী ডাক্তার এটা ভালো চোখে দেখেননি। কেরিয়ার শেষ করে দিতেই ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি তাঁদের। অভিযুক্তরা বলছেন, "পরিবার আমাদেরও আছে। এমন পরিস্থিতিতে মুখ দেখানো দায় হয়ে যাচ্ছে।" পরিস্থিতি যদি না বদলায় তাহলে পুজোর পরে অনশনে বসবেন বলে জানিয়ে দিলেন সৌরভ, অতনুরা।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "কারও বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে ঝাঁকে-ঝাঁকে পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করে দেওয়া, এ কেমন ন্যায়! বিষয়টা খতিয়ে দেখতে সরকারকে অনুরোধ করব।" সবমিলিয়ে এবার 'থ্রেট কালচার' ইস্যুতে পালটা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন আন্দোলনকারীরা।