সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই ফের তাইওয়ান (Taiwan) ‘দখল’ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে চিন-তাইওয়ানের ‘পুর্নমিলন’ নিয়ে সওয়াল করেছিলেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন স্পষ্ট জানিয়েছেন যে চিনের থেকে বিপদ প্রতিদিন বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: চিনকে কড়া বার্তা দিয়ে তাইওয়ানের কাছে সমুদ্রে শক্তিপ্রদর্শন মার্কিন রণতরীর]
মঙ্গলবার সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ওয়েন বলেন, “প্রতিদিন চিনের থেকে বিপদ বাড়ছে। প্রায় আড়াই কোটি মানুষের এই দ্বীপরাষ্ট্রটি প্রতিদিন গণতন্ত্র ও নিজেদের প্রাপ্য অধিকার রক্ষা করার লড়াই চালাচ্ছে। যদি আমরা ব্যর্থ হই তাহলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস হারয়ে যাবে।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সাক্ষাৎকারে এই প্রথম তাইওয়ানে মার্কিন ফৌজ থাকার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন প্রেসিডেন্ট ওয়েন। তবে প্রশিক্ষণের জন্যই আমেরিকার বাহিনী রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, চিনকে ভড়কে দিতেই মার্কিন ফৌজ থাকার কথা সুচিন্তিতভাবে প্রকাশ করেছেন ওয়েন।
বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন (China)। তবে বেজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। তারপর থেকেই আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছে দেশটি। লালফৌজের হামলা ঠেকাতে সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক হাতিয়ারে সাজিয়ে তুলছে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে সমুদ্রেই চিনকে রুখে দিতে এবার দেশেই অত্যাধুনিক সাবমেরিন বাহিনী তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
উল্লেখ্য, গতবছর চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে তাইওয়ানকে ১০০টি হারপুন মিসাইল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই পথেই হাঁটছেন আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কয়েকদিন আগেই ওয়াশিংটন সাফ জানায়, তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে আমেরিকা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বিগত দিনে চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কমিউনিস্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একাধিকবার ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রটিকে দখল করার হুমকি দিয়েছেন। এহেন সময়ে তাইপেই ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক নতুন মাত্রা লাভ করেছে।