অর্ণব আইচ: সবে কলকাতা পুরসভার নির্দেশে শহরের সমস্ত হুক্কা বার (hookah bars) বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে রাতারাতি কি তা হওয়া সম্ভব? সম্ভব যে নয়, তা বোঝা গেল শুক্রবার গভীর রাতেই। বিকেলেই হুক্কা বার বন্ধের ঘোষণা করেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। আর রাতে বিধান সরণি, পার্ক স্ট্রিটে বেআইনিভাবে হুক্কা বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হল তিনজন। তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
প্রথম ঘটনাটি উত্তর কলকাতা বিধান সরণির। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে সেখানে হানা দেয় পুলিশের একটি টিম। ১১৪/৪এ বিধান সরণির একটি হুক্কা বার থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। টালা থানায় দুটি ধারায় মামলা রুজু করে। অন্যদিকে, পার্ক স্ট্রিট (Park Street) থানা এলাকা থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, তারা রাস্তায় সাধারণ মানুষকে বেআইনিভাবে হুক্কা বিক্রি করছিল। পার্ক স্ট্রিট থানায় তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা।
[আরও পড়ুন: ‘এখানকার সাংসদ সর্বভূক, কয়লা, বালি, মদের বোতল খায়’, অভিষেককে কুকথা শুভেন্দুর]
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তিনজনের নাম ইউসুফ খান, ইউসুফ সেলিম ও অমিত নাথ। এদের মধ্যে অমিত উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার বাসিন্দা। বাকি দু’জনের মধ্যে একজন বড়বাজার ও অপরজন কলিন স্ট্রিটের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এদিন তাদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘উচ্চ মাধ্যমিক পাশ, MBA ডিগ্রি ভুয়ো’, অভিষেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর]
কলকাতার বিভিন্ন হুক্কা বারে হুক্কার সঙ্গে মাদক মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ধরনের প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) কাছে। তা মাথায় রেখে শুক্রবার মেয়র জানিয়েছেন, নতুন কাউকে হুক্কা বার খোলার অনুমতি তো দেওয়া হবেই না, পাশাপাশি যে সমস্ত বারের হুক্কা পাওয়া যায়, তাদেরও যত শীঘ্র সম্ভব হুক্কা বিক্রি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করে কোনও বার লুকিয়ে হুক্কা পরিবেশন করলে সেই বারের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। সেইমতো রাতেই অভিযান চালিয়ে বেআইনি হুক্কা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।