শেখর চন্দ্র, আসানসোল: পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলের (Asansol) সালানপুরে। জেমারি এলাকায় শুক্রবার মাঝরাতে কালীপাথর NTPC-র পাইপ লাইনের কাশিডাঙার জঙ্গলের মধ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় একটি দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রাজেশ বাউরি। এই ঘটনায় দুই মহিলা-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সালানপুর (Salanpur) থানার পুলিশ।
রাজেশ বাউরির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ জুলাই বাড়ি থেকে গাড়ি মেরামতির নাম করে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন তাঁর স্ত্রী বন্দনা বাউরি স্বামীর নামে মিসিং ডায়েরি (Missing diary) করেন সালানপুর থানায়। তারপরেও পুলিশ রাজেশের কোনও খোঁজ দিতে পারেনি। এরপরে পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের সন্দেহের উপর ভিত্তি করে পুলিশ দুই মহিলা-সহ একজনকে আটক করে। ধৃতদের নাম অমিত বাউরি, ভাদু বাউরি, পদাবতী সোরেন।
[আরও পড়ুন: আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, পাল্লা দিয়ে বাড়বে তাপমাত্রাও]
পুলিশের দাবি, তাদের টানা জেরা করার পর ওই তিনজন স্বীকার করে, তারাই রাজেশ বাউরিকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে। তারপর দেহ বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল। মোটর সাইকেলটি পরিত্যক্ত কয়লা খাদানে ফেলে দেয়। এরপরে ধৃত তিনজনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহটি বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। যদিও এখনও বাইকটি পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: SSC নিয়োগ: জট খোলার চেষ্টায় অভিষেক, কেন পরিস্থিতি জটিল করছেন? বিরোধীদের প্রশ্ন কুণালের]
পুলিশের অনুমান, অতীত প্রেমের জেরে এই ঘটনা ও জমিজমা বিক্রির টাকা নিয়ে অশান্তির কারণেই এই খুন। কে কে এই ঘটনায় জড়িত, তার তদন্ত শুরু করেছে সালানপুর থানার পুলিশ। রাজেশ বাউরির মৃত্যুতে রাজনীতির কোনও যোগ না থাকলেও মৃতদেহ উদ্ধার প্রসঙ্গে সালানপুরের ব্লক তৃণমূলের (TMC) সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং বলছেন, ”এমন জঘন্য অপরাধের ঘটনা তীব্র নিন্দনীয়। আমরা মৃতের পরিবারের পাশে রয়েছি। প্রকৃত দোষীদের শাস্তি চাই।”