অর্ণব দাস, বারাসত: দক্ষিণেশ্বরে জামাইষষ্ঠীর রাতে যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল মৃতের দিদি জামাইবাবু ও জামাইবাবুর মামাকে। পুলিশ জানিয়েছে পারিবারিক সম্পত্তির বিবাদের জন্যই এই খুন। সেই দিন রাতে বাড়ি কেউ না থাকার সুযোগে খুন করা হয় এক যুবককে। মৃত অপূর্ব ঘোষ ফলের ব্যবসা করতেন। খুনের পর অজ্ঞাত পরিচিতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
খুনের পর জানা গিয়েছিল, ঘটনার রাতে নিজের বাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে মদের আসর বসিয়েছিলেন অপূর্ব। পরিবারের কেউ সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। ফিরে পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান, খাটের উপর অপূর্বের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। শরীর জুড়ে অসংখ্য কোপানোর দাগ। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ (Police) এসে দেহ ময়নাতদন্ত পাঠিয়ে, তদন্ত শুরু করে।
[আরও পড়ুন: ভোট বিপর্যয়ের পর বঙ্গে পদ্ম বৈঠক, দায় ঠেলাঠেলির মাঝে মুখোমুখি দিলীপ-শুভেন্দু?]
জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরিবারের সদস্যদেরও। সেই সময় সন্দেহজাগে মৃতের দিদি অনন্তিকা দাস, ও জামাইবাবু সুদীপ দাস বিরুদ্ধে। তদন্তে মামলার এক স্বাক্ষীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, পুলিশের সেই সন্দেহ আরও প্রকট হয়। সেই অনুসারে, দিদি ও জামাইবাবুকে জেরা করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় দিদি ও জামাইবাবু খুনের কথা স্বীক্ষার করেছে। সুদীপের মামা সঞ্জীব পাত্রকে দিয়ে এই খুন করিয়েছে তাঁরা। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, জামাইয়ের মামা সঞ্জীবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তবে কেন এই খুন? পুলিশ জানিয়েছে, মৃত অপূর্বের সঙ্গে দিদি অনন্তিকার সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা চলছিল। অনন্তিকার দাবি, ভাই তাঁকে সম্পত্তি থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এমনতাবস্থায় চলতি মাসের ১ তারিখে অর্পূবের বাড়িতে মদের আসর বসে। সেখানে গিয়েছিলেন সঞ্জীব। সেখানে মৃত অপূর্ব, তাঁকে গালিগালাজ করে বলে দাবি অভিযুক্তদের।
তখনই অপূর্বকে খুনের পরিকল্পনা করেন তাঁরা। দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar) থানার আধিকারিক বলেন, "গত ১২ তারিখ রাতে এই খুনের ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে সেই রাতেই মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের হাতে আসে। সেই তথ্য পাওয়ার পরই মামলার মোড় ঘুরে যায়। তার পর অভিযুক্তদের আটক করে দক্ষিণেশ্বর থানায় জেরা শুরু হয়। সেখানে মৃতের দিদি, জামাইবাবু খুনের বিষয়টি স্বীক্ষার করেছে।"