অর্ণব আইচ: ভুয়ো ফিক্সড ডিপোজিটের সার্টিফিকেট দিয়ে একটি সংস্থার সঙ্গে ৩৫ কোটি টাকার প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছিল। এর জেরে এলাহাবাদ ব্যাংকের বৌবাজার শাখার ম্যানেজার-সহ ব্যাংকের তিন জনকে কর্মীকে গ্রেপ্তার করল কলকাতার মুচিপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের দু’নম্বর এসিএমএম (ACMM (II)) আদালতে তোলা হলে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ নভেম্বর কলকাতার মুচিপাড়া থানায় এলাহাবাদ ব্যাংকের বৌবাজার শাখা (Bowbazar)’র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সম্রাট পাল ও ওই ব্যাংকের দুই কর্মী অরুণ পান্ডে এবং কৃষ্ণেন্দু মল্লিকের নামে ৩৫ কোটি টাকা প্রতারণার একটি এফআইআর দায়ের করে গোখলে রোডে অবস্থিত জনাঙ্কুর সাহা অফ ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ারস (ইন্ডিয়া) নামে একটি সংস্থা। তাদের অভিযোগ, উচ্চ সুদের লোভ দেখিয়ে তাদের ৩৫ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করার পরামর্শ দিয়েছিল এলাহাবাদ ব্যাংকের বৌবাজার শাখার কর্মী ও সিঁথি এলাকার কালীচরণ ঘোষ রোডের বাসিন্দা ৪৮ বছরের অরুণ পান্ডে।
[আরও পড়ুন: সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আইন আনবে রাজ্য, হুঁশিয়ারি দিয়ে মোদিকে চিঠি মমতার]
আর সেই কাজে তাকে সাহায্য করেছিল ব্যাংকের আরেক কর্মী মুচিপাড়া থানা এলাকার জেলেপাড়া লেনের বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু মল্লিক। তাদের কথা শুনে বৌবাজার ব্যাংকের ম্যানেজার সম্রাট পালের সঙ্গে দেখা করে জনাঙ্কুর সাহা অফ ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ারসের কর্তৃপক্ষ। আর তার কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরেই ৩৫ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট (FD) করে। কিন্তু, পরে তারা জানতে পারে যে ওই ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেটটি জাল। এরপরই মুচিপাড়া থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করে।
এরপরই তদন্তে নেমে গত ৭ তারিখ মন্দারমণি থেকে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত অরুণ পান্ডেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মুচিপাড়া থেকে কৃষ্ণেন্দু ও উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থেকে সম্রাট পালকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারির সময় অরুণ পান্ডে ও কৃষ্ণেন্দু মল্লিকের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা, ২০০ গ্রাম ওজনের সোনার কয়েন ও একটি বিএমডব্লুউ গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।