সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে তো লকডাউনের ধাক্কায় দেশের সাধারণ মানুষের প্রবল ভোগান্তি। তার মধ্যেই চিনের (China) তিনটি ব্যাংকের গ্রাহকরা (Bank) পড়েছেন আরেক কঠিন সমস্যায়। ওই তিন আঞ্চলিক ব্যাংকে কেউ টাকা তুলতে পারছেন না। ফলে বাড়ছে ক্ষোভ। অচিরেই এই ক্ষোভ বড়সড় আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ওই তিন ব্যাংকের নাম ইউ ঝাউ মিন শেং ভিলেজ ব্যাংক, শাংচাই হুইমিন কান্ট্রি ব্যাংক ও ঝেচেং হুয়াংহাই কমিউনিটি ব্যাংক। ব্যাংকগুলির মোট ১০ বিলিয়ন ইউয়ান ‘ফ্রিজ’ হয়ে রয়েছে। যার ধাক্কায় লক্ষ লক্ষ গ্রাহকরা বড়সড় বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। যদিও এই ব্যাংকগুলি ছোট এবং মূলত চিনের গ্রামীণ এলাকাগুলিতেই ছড়িয়ে রয়েছে তাদের গ্রাহক। তবুও অনলাইন পরিষেবায় সারা দেশেই তাদের গ্রাহক বাড়ছিল। ফলে সমস্যা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরের গ্রাহকদেরও হচ্ছে। সব মিলিয়ে গ্রাম ও শহরের বহু মানুষকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও ‘ব্রাত্য’ রাজ্যপাল? ভিজিটর হতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী]
এর আগে ২০২১ সালে পিপলস অফ চায়নাও কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছিল। কিন্তু তা নির্দিষ্ট অঞ্চলের বাইরে টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেই। কিন্তু এবার তিন-তিনটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে লেনদেনে এহেন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করেছে। সাংহাইয়ের বাসিন্দা এক গ্রাহক জানিয়েছেন, তিনি ব্যাংকটির অ্যাপ খুলতেই পারছেন না। তাঁর কথায়, ”এক বন্ধু আমাকে এই ব্যাংকের কথা বলেছিল। টাকা জমার ক্ষেত্রে সুদের হার বেশি বলে আমি অ্যাকাউন্টও খুলি। কিন্তু এখন অ্যাপটিই খুলতে পারছি না।” এমন অবস্থা আরও বহু গ্রাহকের।
চিন বরাবরই স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থা বজায় রাখাকেই অগ্রাধিকার দেয়। কিন্তু এবার যা পরিস্থিতি তাতে অচিরেই গ্রাহকদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সমস্যা আরও গভীর আকার ধারণ করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি লকডাউনের প্রতিবাদে বিপুল জনবিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। এবার নয়া বিক্ষোভের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।