সুকুমার সরকার, ঢাকা: কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলায় তিন মানব পাচারকারীকে খতম করল পুলিশ। সোমবার রাত পৌনে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার উপজেলার মহেশখালিয়া পাড়ায়। মৃতরা হল, টেকনাফের সাবরাং নয়াপাড়ার কোরবান আলি (৩০), কে কে পাড়ার আবদুল কাদের (২৫) ও আবদুর রহমান (৩০)। এদের বিরুদ্ধে ১৫ জন রোহিঙ্গাকে টেকনাফ থেকে মালয়েশিয়া পাচার করার অভিযোগ ছিল।
[আরও পড়ুন- অসহ্য যন্ত্রণায় দুর্বিষহ জীবন! হাত কাটতে চান বাংলাদেশের ‘গাছমানব’]
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, তিনজনই মানব পাচার মামলার পলাতক আসামি। দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। সোমবার রাতে গোপন সূত্রে জানা যায়, তারা মহেশখালীয়া পাড়ার নদীর ঘাটে রয়েছে। এরপরই সেখানে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে টেকনাফ থানা পুলিশ। আচমকা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে পাচারকারীরা। পালটা গুলি চালায় পুলিশও। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। উভয়পক্ষের গুলির লড়াইয়ে জখম হয়েছেন টেকনাফ থানার এএসআই মহম্মদ সইফ ও কনস্টেবল মহম্মদ সুক্কুর।
অন্যদিকে সোমবারই দুটি পৃথক ঘটনায় নিহত হয়েছেন দু’জন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বান্দারবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির এক কর্মীর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আর বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বদরুল ইসলাম (৫০) নামে একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়।
[আরও পড়ুন- নাবালিকা পরিচারিকাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার মালিক]
মানব পাচারকারীদের পাশাপাশি মাদক কারবারের বিরুদ্ধেও অভিযান চালাচ্ছে হাসিনা সরকার। এপ্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “নিষিদ্ধ ইয়াবা আসছে মায়ানমার থেকে। আর ভারত থেকে আমাদের দেশে আসে গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ। এর ফলে বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও ভৌগলিক কারণে মাদক সমস্যায় পড়েছে। ২০১৮ সালে একলাখ ৬১ হাজার ৩২৩ জন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে এক লাখ ১৯ হাজার ৮৭৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। আর এবছরের মে পর্যন্ত ছ’হাজার ৬৭১ জন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে ৬ হাজার ১৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
The post মানব পাচার রুখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ, পুলিশের গুলিতে খতম ৩ পাচারকারী appeared first on Sangbad Pratidin.