সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে বড় সাফল্য। জম্মু ও কাশ্মীরে গ্রেপ্তার লস্কর-ই-তইবার তিন জঙ্গি। এর ফলে উপত্যকায় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জেহাদি নেটওয়ার্ক বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বলেই মনে করছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শুক্রবার উত্তর কাশ্মীরের (Kashmir) বারামুলা জেলার সপোর থেকে তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে যৌথভাবে এই অভিযান চালায় কাশ্মীর পুলিশ, ২২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও সিআরপিএফ। ধৃত জঙ্গিদের নাম হচ্ছে–শারিক আশরফ, সাকলেন মুস্তাক, তৌকিফ হাসান শেখ। তাদের কাছ থেকে তিনটি হ্যান্ড গ্রেনেড, পাকিস্তানের পতাকা ও জেহাদি পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী ও পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর হামলার পরিকল্পনা ছিল ধৃত লস্কর জঙ্গিদের। এছাড়া, পাকিস্তান থেকে আসা জেহাদিদের লুকিতে রাখার কাজও করত তারা বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের মৃত্যরহস্যে নয়া মোড়, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর সিসিটিভি ফুটেজ]
উল্লেখ্য, গত ২১ তারিখ জম্মুর রাজৌরি জেলায় নৌসেরার ঝাঙ্গর সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। তখনই নিয়ন্ত্রণরেখায় পুঁতে রাখা মাইন ফিল্ডের ফাঁদে পা দিয়ে বিস্ফোরণে জখম হয় তাবারক হোসেন নম্র এক সন্ত্রাসবাদী। মারা যায় তার দুই সঙ্গী। তাবারককে গ্রেপ্তার করে হাসপাতালে ভরতি করে সেনাবাহিনী। জেরায় ওই জঙ্গি জানিয়েছে, ইউনুস চৌধুরী নামের এক পাকিস্তানি কর্নেল তাঁকে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে ‘ফিঁদায়’ হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল। ভারতে হামলার চালানোর জন্য তাকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল বলেও জানিয়েছে তাবারক।
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে সম্মুখ সমরে না নেমে জম্মু ও কাশ্মীরে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পাকিস্তান আর্মি ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সীমান্তের অপার থেকে সন্ত্রাসবাদীদের ঢুকিয়ে এবং স্থানীয় যুবকদের মগজধোলাই করে ভারতকে রক্তাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পড়শি দেশটি। তবে ভারতীয় সেনার লাগাতার অভিযান ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে অনেকটা বিপাকে ইসলামাবাদ।