মাসুদ আহমেদ: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর (Kashmir)। বুধবার শ্রীনগরের রামবাগে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ তিন জঙ্গি (Terrorist)। কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার এই কথা জানিয়েছেন। পুলিশ-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে খতম ওই তিন জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ঠিক কী হয়েছিল? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে থেকেই রামবাগের ওই অঞ্চলে জঙ্গিদের আত্মগোপন করে থাকার খবর ছিল। সেইমতো এলাকা ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের কোণঠাসা করে ফেলে পুলিশ। জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তারা তা না করে গুলি চালাতে শুরু করে। পালটা গুলি চালায় পুলিশও। গুলির লড়াইয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তিন সন্ত্রাসবাদী। আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত তিন জঙ্গিকে খতম করার পরই অভিযানের সমাপ্তি ঘটে।
[আরও পড়ুন: কমছে করোনার প্রকোপ, দ্রুতই আন্তর্জাতিক উড়ান চালুর ইঙ্গিত কেন্দ্রের]
প্রসঙ্গত,গত সপ্তাহেই কাশ্মীরের কুলগামে সেনার গুলিতে খতম হয় এক জঙ্গি। জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার গুলির লড়াইয়ের সময়ই ওই জেহাদির মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে ৬০ জনকে উদ্ধার করা হয়ে। তাদের মধ্যে ছিল স্কুলপড়ুয়ারাও। তার আগে কুলগামেই সেনা-জঙ্গি মধ্যে চলা আরেকটি গুলির লড়াইয়ে খতম হয় প্রভাবশালী জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের (Hizbul) এক শীর্ষ কম্যান্ডার। হিজবুলের আরও এক জেহাদিও নিকেশ হয় সেই অভিযানে।
কাশ্মীরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাড়ছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা। আসলে শীত পুরো উপত্যকা বরফে ঢেকে যাওয়ার আগেই জেহাদি সংগঠনগুলি নিজেদের কম্যান্ডারদের ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে। জেহাদিদের এই অপচেষ্টা অবশ্য দক্ষতার সঙ্গে রুখে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। অক্টোবরেও ক্রমাগত নাশকতা চালিয়ে কাশ্মীরে আতঙ্কের দিন ফেরানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা। হিন্দু ও শিখদের টার্গেট করছে জেহাদিরা। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিয়েছে ভারতীয় সেনা, কাশ্মীর পুলিশ এবং ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ।