শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: নবিদিবসের শোভাযাত্রায় যাওয়ার পথে হাইটেনশন তারে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হল বারোর এক কিশোরী ও দুই নাবালকের। বিদ্যুতের তার থেকে আগুন ধরে যাওয়ায় দগ্ধ হয়েছেন আরও ১২জন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ইসলামপুর বাইপাসের শিয়ালতোড় এলাকায়। আহতদের মধ্যে ৬ জনের চিকিৎসা চলছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। বাকিরা ভরতি ইসলামপুর হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার একটি গাড়ি করে স্থানীয় কুড়ি-বাইশজন একসঙ্গে নবিদিবসের মিছিলে যোগদানের জন্য যাচ্ছিল। কাঁচা বাশের মাথায় পতাকা লাগিয়ে তা নিয়েই গাড়িতে উঠেছিল তাঁরা। বাইপাস ধরে যাওয়ার সময় রাস্তার হাইটেনশন তারে সঙ্গে স্পর্শ হয় গাড়ির যাত্রীদের হাতে থাকা পতাকা ও কাঁচা বাঁশের। এতেই তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় ৩ নাবালক-নাবালিকার। মুহূর্তে আগুন ধরে যায় বাঁশটিতে। ফলে গাড়িটিতে থাকা বাকিরা দগ্ধ হন। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন শ্রমদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানি (Md. Golam Rabbani) এবং স্থানীয় বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরি, জেলা পরিষদের প্রতিনিধি জাভেদ আখতার, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন ও অন্যান্যরা।
[আরও পড়ুন: রেল আবাসনে বেআইনিভাবে চলছে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ, দুর্ঘটনায় ক্ষুব্ধ আবাসিকরা]
এদিন মৃত কিশোরীর শিয়ালতোরের বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে সমবেদনাও জানান মন্ত্রী ও বিধায়ক। হাসপাতালে গিয়ে জখমদের খোঁজ খবর নেন। এরপর মন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, “নবিদিবসে যাওয়ার আগে প্রায় বাইশজন ছেলেমেয়ে পিকআপ ভ্যানে করে বাইপাসে ঘুরছিল। সেই সময় গাড়ি থেকে বেরিয়ে থাকা কাঁচা বাঁশ ও পতাকা হাইটেনশন তারে সংস্পর্শে আসাতেই মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন আগুনে পুড়ে জখম হন।” নবিদিবসের অনুষ্ঠানে যোগদানের আগেই এহেন মর্মান্তিক ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মৌলবী ফিদাউল মুস্তাফা। স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, “গাড়িতে করে ওরা আসছিল। চোখের সামনে বিদ্যুতের তাঁরে ধাক্কা খেল বাঁশটা।” এপ্রসঙ্গে বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরি জানিয়েছেন, মৃতদের এবং আহতের আর্থিক সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হবে। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।