সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মেয়ে হর্ষিতাকে প্রতারণার অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। দিন কয়েক আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে অনলাইনে একটি সোফা বিক্রি করতে গিয়ে ৩৪ হাজার টাকার প্রতারণার শিকার হন। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ের প্রতারিত হওয়ার খবরে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায় নেটদুনিয়ায়। তড়িঘড়ি তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। অবশেষে রবিবার সাজিদ, কপিল এবং মানবেন্দ্র নামের তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। সূত্রের খবর, পলাতক ওই যুবকই ই-কমার্স সাইটগুলিতে ফেক অ্যাকাউন্ট বানিয়ে প্রতারণা করত।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) মেয়ে হর্ষিতা সোফা বিক্রির অনলাইন বিপণন সাইটে বিজ্ঞাপন দেন। সেই মতো ছবি আপলোড করেন। সেই ছবি দেখে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন অভিযুক্তরা। সোফা সেটটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে তারা। কিন্তু বিক্রির পর টাকা নিতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। নিজের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য হর্ষিতা ওই অভিযুক্তদের কাছে পাঠান। প্রথমে সামান্য কিছু টাকা ক্রেতা কেজরিওয়াল কন্যার অ্যাকাউন্টে পাঠায় অভিযুক্তরা। সঙ্গে একটি QR কোডও পাঠায় তারা। হর্ষিতাকে সেটি স্ক্যান করতে বলা হয়। বেশি ভাবনাচিন্তা না করে হর্ষিতা QR কোডটি স্ক্যান করেন। অভিযোগ, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। পরে আরও এক দফায় একইভাবে ১৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।
[আরও পড়ুন: ‘বুরহান-কাসভের বয়সও ছিল ২১,’ পরিবেশকর্মী দিশার গ্রেপ্তারিতে BJP সাংসদের মন্তব্যে বিতর্ক]
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনার ৯ দিনের মাথায় সোমবার প্রথম সাফল্য পায় তাঁরা। সাজিদ, কপিল এবং মানবেন্দ্র নামের তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, এই প্রতারণা চক্রের চাঁই এখনও অধরা। সেই নাকি অনলাইন সাইটগুলিতে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে এই প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল। এখানেই প্রশ্ন উঠছে দিল্লি পুলিশের তদন্তের গতি নিয়ে। যেখানে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে প্রতারণার শিকার, সেখানে দশ দিন পরেও মূল অভিযুক্তকে ধরা গেল না কেন? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।