সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়! বাংলার পুরনো আপ্তবাক্য যেন আরও একবার সত্যি প্রমাণিত হল দিল্লির মন্ত্রিসভার শপথের মঞ্চে। বছর দশেক আগে স্পিকারের নির্দেশে যে বিধায়ককে বিধানসভা থেকে চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তিনিই দিল্লি বিধানসভায় ফিরলেন স্পিকার হিসাবে।
বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই স্পিকার পদে শপথ নিয়েছেন বিজেন্দ্র গুপ্ত। রোহিণীর তিনবারের বিধায়ক বিজেন্দ্র একসময় দিল্লি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন। আপের শাসনকালে বছর দশেক আগে একবার দিল্লি বিধানসভা থেকে একপ্রকার চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়া হয়েছিল এই বিজেন্দ্রকে। বিজেন্দ্রকে বের করে দেওয়া হয়েছিল স্পিকারের নির্দেশে। এবার বিজেন্দ্র ফিরছেন সেই স্পিকারের আসনেই।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বরের ঘটনা। দিল্লি বিধানসভায় বিজেন্দ্র তখন বিজেপির দলনেতা। সেসময় অলকা লম্বা ছিলেন আম আদমি পার্টিতে। তৎকালীন আপ নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করার অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা। অভিযোগ ছিল, বিজেপি বিধায়ক ওপি শর্মা ওলকাকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেছেন। শাসকদল আপ এবং বিরোধী বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে প্রায় হাতাহাতি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেসময় বিজেপির নেতা বিজেন্দ্র গুপ্তকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তৎকালীন স্পিকার রামনিবাস গোয়েল। কিন্তু স্পিকারের সেই নির্দেশ অমান্য করে বিধানসভা কক্ষেই থেকে যান বিজেন্দ্র। তখনই মার্শাল ডেকে তাঁকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার। চ্যাংদোলা করে তাঁকে একপ্রকার ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় বিধানসভা কক্ষের বাইরে।
সেই ঘটনার বছর দশেক পর সেই বিজেন্দ্র গুপ্তই স্বমহিমায় ফিরছেন বিধানসভায়। বিজেপি বলছে, ভাগ্যের চাকা ঘুরছে। আপের থেকে অনেক বদলা নেওয়া বাকি।
