দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: দুদিন ধরে বাঘের আতঙ্কে দিন কাটছিল কুলতলির মৈপীঠ এলাকার বাসিন্দাদের। সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল থেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার চলে এসেছিল লোকালয়ে। সেই বাঘ এবার বনে ফিরে গিয়েছে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন বাসিন্দারা।
সুন্দরবনের কুলতলি এলাকায় বাঘের আতঙ্কে সাধারণ মানুষদের কার্যত ঘুম উড়েছিল। বুধবার সকালে জানা যায়, বাঘ এলাকায় নেই। বাঘ সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে নিজেই ফিরে গিয়েছে। লোকালয় থেকে জঙ্গলে ফিরে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন বনদপ্তরের আধিকারিক নিশা গোস্বামী।
সোমবার থেকে ওই এলাকার গ্রামে বাঘের আতঙ্কে ছড়িয়েছিল। রাস্তার উপর টাটকা পায়ের ছাপও দেখা গিয়েছিল দক্ষিণরায়ের। বাঘের খোঁজে তল্লাশিও শুরু হয়। এদিন সকাল থেকে ফের বাঘের হদিশ পেতে তল্লাশি শুরু হয়েছিল। সেই সময় নদীর চরে বাঘের টাটকা পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। সেই ছাপ বনের দিকে যেতে দেখেই সতর্ক হন বনকর্মীরা। বেশ কিছু সময় সেই ছাপ পরীক্ষার পরে তাঁরা নিশ্চিত হন, বাঘ বনে ফিরে গিয়েছেন।
কুলতলির কিশোরী মোহনপুর সংলগ্ন দক্ষিণ জগদ্দল এলাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে দুদিন ধরে প্রবল আতঙ্ক ছিল। সোমবার জাল দিয়ে বেশ কিছুটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছিল। তার পরের দিনও এলাকার একাধিক জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ মেলে। এলাকার আরও খানিক পূর্ব দিকে এগিয়ে উত্তর জগদ্দল সংলগ্ন জঙ্গলে বর্তমানে বাঘ রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। নতুন করে এক কিলোমিটার এলাকা জাল দিয়ে ঘেরা হয়। এলাকার তিন দিক সম্পূর্ণ ঘিরে নদীর দিকের অংশ খুলে রাখা হয়েছিল।
গ্রামে দুদিন ধরেই চলছিল মশাল নিয়ে রাতপাহারা। গতকাল বাঘ তাড়াতে শব্দবাজিও ফাটানো হয় এলাকায়। শুধু তাই নয়, বাঘ ধরতে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচাও পাতা হয়েছিল। কিন্তু সেই খাঁচার ধারেকাছেও যায়নি দক্ষিণরায়। পরে সকালে ওই বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। বাঘ কি আবার ফিরে আসতে পারে? সেই চাপা আশঙ্কা রয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।