দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ৩ দিনের লুকোচুরি খেলা শেষ। অবশেষে সোমবার সকালে নদী পেরিয়ে ডেরায় ফিরল বাঘ। তবে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে প্রথমে বনকর্মীদের দিকে তেড়ে যায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। আতঙ্কে গাছে উঠে পড়েন বনকর্মী। পরে অবশ্য স্বমেজাজে জঙ্গলে ফেরে দক্ষিণরায়।
শুক্রবার রাতে সুন্দরবনের আজমলমারি জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে বাঘটি ঢুকে পড়ে কুলতলির ভুবনেশ্বরী গৌড়ের চক এলাকায়। বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে বনদপ্তরকে খবর দেয় স্থানীয়রা। বনদপ্তরের কর্মীরা এসে জাল দিয়ে গোটা জঙ্গল ঘিরে ফেলে। শনিবার সারাদিন ধরে চলে এই কাজ। শনিবার রাতেই খাঁচা বসানো হয় বাঘকে কাবু করার জন্য। ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতা থাকলেও সেদিকে আপাতত ফিরেও তাকায়নি বাঘমামা।
রবিবার ফের বাঘের অস্তিত্ব বুঝতে পারেন বনকর্মীরা। নতুন করে আবার পায়ের ছাপ দেখা যায় অন্য এলাকায়। গাছের গায়েও বাঘের পায়ের আঁচড় দেখতে পাওয়া যায়। ফলে বাড়ানো হয় বনকর্মীর সংখ্যাও। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকেও বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বাঘকে ঘুমপাড়ানি ওষুধে কাবু করার জন্য এলাকায় পৌঁছেও যান।
[আরও পড়ুন: বিদেশি মদ ব্যবসায় কারচুপির অভিযোগ, প্রাক্তন IFA সচিবের বাড়িতে আয়কর হানা]
আশেপাশে ঘুরলেও ছাগলের টোপেও খাঁচাবন্দি হয়নি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বরং সোমবার সকালে হালকা শীত গায়ে মেখে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে বনকর্মীদের দেখে বেশ বিরক্তই হয় দক্ষিণরায়। বনকর্মীদের দেখে তেড়ে যায় সে। আতঙ্কে গাছে উঠে পড়েন বনকর্মী।
অবশেষে বাতি বোমা এবং লাঠি দিয়ে তাড়া করা হয় বাঘটিকে। মাকড়ি নদীতে সাঁতার কেটে আজমলমাড়ির জঙ্গলে পৌঁছল দক্ষিণরায়। তার ফলে স্বস্তিতে মৈপীঠের বাসিন্দারা। তবে পাথরপ্রতিমার উপেন্দ্রনগরে নদীর চরে দেখা গিয়েছে পায়ের ছাপ। তার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
দেখুন ভিডিও: