সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল টিকটক (TikTok) তারকা ভিগনেশ কৃষ্ণ। কেরলের (Kerala) ত্রিসুর জেলার ১৯ বছরের বাসিন্দা ভিগনেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছে সে। যার ফলে ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে।
টিকটকে ভিডিও শেয়ার করে খ্যাতি পেয়েছিল ভিগনেশ। রাতারাতি ফলোয়ার বেড়ে গিয়েছিল তার। এই অবস্থায় বছরখানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই কিশোরীর সঙ্গে আলাপ হয় টিকটক তারকার। ক্রমে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। শুরু হয় লুকিয়ে দেখা করা। এরপরই কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও স্থাপন করে (Physical intimacy) ভিগনেশ।
[আরও পড়ুন: GST বৈঠকেও বাংলার কণ্ঠরোধ! বলতে দেওয়া হয়নি অমিত মিত্রকে, অভিযোগ ওড়াল কেন্দ্র]
এরপরই ধরা পড়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। খবর জানাজানি হতেই তার বাবা-মা ভিগনেশের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। বেকায়দা বুঝে চম্পট দেয় টিকটক তারকা। পুলিশ তাকে খুঁজতে শুরু করে। নানা ভাবে ভিগনেশের বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে ফোন কলগুলি অনুসরণ করা শুরু হয়।
ইতিমধ্যেই ভিগনেশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে ফেলে। উদ্দেশ্য, বিদেশে পালিয়ে গা ঢাকা দেওয়া।
কিন্তু তার সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। পুলিশ একটা কৌশল করে। ফোন করে তারা ভিগনেশের পরিবারকে খবর দেয়, তাঁদের ছেলের পাসপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেকথা জানাতে ত্রিসুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান ভিগনেশের বাবা। পুলিশও সেই সুযোগে তাঁর পিছু নেয়। তিনি ছেলের সঙ্গে দেখা করতেই পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে ভিগনেশকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বেসুরো দুই জোটসঙ্গী! বিহারে ‘নড়বড়ে’ নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন NDA সরকার]
প্রসঙ্গত, গত বছর নিষিদ্ধ হয় টিকটক। তার আগে চিনা ওই প্ল্যাটফর্মে নানা ধরনের ভিডিও পোস্ট করত ভিগনেশ। আর সেই সব ভিডিওর দৌলতে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ওই তরুণ। সেই সূত্রেই পরবর্তী সময়ে তার সঙ্গে আলাপ ওই কিশোরীর।