shono
Advertisement

যাদবপুরে রামের ভোট বামে পড়া রুখতে পদ্মশিবিরকে সাহায্য তৃণমূলের!

ভোট ভাগ না হলে বিকাশকে আটকানো যাবে না, তাই এই উলটপুরাণ। The post যাদবপুরে রামের ভোট বামে পড়া রুখতে পদ্মশিবিরকে সাহায্য তৃণমূলের! appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 11:51 AM May 20, 2019Updated: 11:51 AM May 20, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদীয় ভোটে উলটপুরাণের কাহিনিতে সেই ১৯৮৪ সাল থেকে যাদবপুর খবরের শিরোনামে এসেছে। এবারের  নির্বাচনেও বিজেপিকে সামনে রেখে বামের ভোট কেটে তৃণমূলকে জেতার সমীকরণে এগিয়ে দেওয়ার রহস্যজনক রাজনীতি দেখল যাদবপুর।

Advertisement

এবার প্রতিটি দফাতেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি এজেন্টকে বুথ থেকে মেরে বা হুমকি দিয়ে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার সপ্তম দফাতেও আট সংসদীয় কেন্দ্র থেকে কমবেশি এমন নানা অভিযোগের আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু আশ্চর্যজনক তথ্য হল, যাদবপুরের জাঁদরেল বামপ্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্যর টানে বামভোট যাতে না বাড়ে সেজন্য বেশ কিছু এলাকায় বিজেপিকে সামনে নিয়ে এসেছে স্থানীয়
তৃণমূল নেতৃত্ব। সোনারপুর, বারুইপুর ও যাদবপুরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে তো বিজেপির ক্যাম্প অফিস তৈরি করতে স্থানীয় জোড়াফুল শিবির সাহায্য করেছে বলেও বামেদের অভিযোগ।

[আরও পড়ুন-বুথ সামলাল প্রমীলা বাহিনী, নারীশক্তির কর্মক্ষমতা দেখল উত্তর কলকাতা]

অন্য আট কেন্দ্রে যেখানে বিজেপিকে কার্যত তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে যাদবপুরে গেরুয়া এজেন্টদের ‘গুরুত্ব’ দিয়েই বুথে রাখা হয়েছে। এমনিতেই যাদবপুরে বিকাশ ভট্টাচার্যকে সমর্থন করে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। তার উপর তৃণমূল বিরোধী সমস্ত ভোট যদি বামবাক্সে চলে যায় তবে বিকাশ সুবিধা পেয়ে যেতে পারেন। বস্তুত এই কারণেই বিরোধী ভোট ভাগ করে দিয়ে তৃণমূলের নিজস্ব ভোটব্যাংক অক্ষত রাখার অঙ্কেই বিজেপিকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে বলে দাবি। রাজ্যের অন্যত্র‌ বামের ভোট রামে চলে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু যাদবপুরে বিকাশই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। এটাও যে ভোট রাজনীতির একটা মোক্ষম চাল তা স্বীকার করছেন বামেরা।

[আরও পড়ুন- ‘মিমিকে দেখুন কোথাও গিয়ে মেকআপ নিচ্ছেন’, নির্বাচন শেষে খোশমেজাজে অনুপম]

যদিও তৃণমূল নেতারা কেউই স্বীকার করেননি বিকাশকে হারাতে গেরুয়া শিবিরকে এভাবে তুলে ধরার অভিযোগ। কয়েকদিন আগে সোনারপুরে এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছিলেন, এলাকায় কোনও পদ্মফুল ফুটবে না। কিন্তু ভোটের দিন তাঁর পাড়াতেই চোখে পড়ল প্রচুর গেরুয়া পতাকা ও বিজেপির ক্যাম্প অফিস। তা হলে, কী হল? তৃণমূল শিবিরে ভাঙন?

প্রশ্ন শুনে কানে কানে সেই পঞ্চায়েত কর্তা বললেন, “ভোট ভাগ না হলে বিকাশকে আটকানো যাবে না। ভোট ভাগ হওয়াটা জরুরি। তাই নিজেদের লোক দিয়েই ওদের উপস্থিতিটা জরুরি করেছি।” একই কথার প্রতিধ্বনি শুনলাম যাদবপুরের একাধিক ওয়ার্ডে। বোলপুর থেকে এসে বিজেপির প্রার্থী হওয়া অনুপম হাজরাকে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও রামের ভোট বামে যাওয়া আটকাতে বেশি করে পদ্ম প্রতীক হাজির করেছে। কলকাতার একাধিক ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব নেতারা প্রকাশ্যেই বলে দিলেন, “শেষ বেলায় বাম-রাম একজোট হয়ে জোড়াফুলকে হারানোর ছক কষেছিল। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া এক ‘গদ্দার‘ নেতার সঙ্গে আলিমুদ্দিনের ভোট ম্যানেজারদের গোপন চুক্তি হয়ে গিয়েছিল। যাদবপুরে রামের ভোট বামে যাওয়া রুখতে তাই পালটা ছক দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় স্তরে গেরুয়া শিবিরকে তুলে ধরে ভোট ভাগাভাগি করে উপরতলার গোপন জোট ভেস্তে দেওয়া হয়েছে।”

The post যাদবপুরে রামের ভোট বামে পড়া রুখতে পদ্মশিবিরকে সাহায্য তৃণমূলের! appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement