সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্বে অশান্তি নিয়ে রাজ্যপালের বিবৃতির পালটা সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, “কীসের ভিত্তিতে এত কথা বলছেন রাজ্যপাল? মণিপুর (Manipur) মরছে, উত্তরপ্রদেশ মরছে সে নিয়ে তো কথা বলেন না।”
মনোনয়ন পর্বের শেষদিন ভাঙড় ও চোপড়ার হিংসা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রাতে রীতিমতো কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বলেন, ‘গণতন্ত্রে হিংসার কোনও জায়গা নেই। এই শয়তানের খেলা শেষ হওয়া উচিত। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম আক্রান্ত হয়েছে। তার মানে গণতন্ত্র আক্রান্ত। পশ্চিমবঙ্গেই সেটার শেষের শুরু। যে কোনও মূল্যে সহিংসতা রুখতে হবে। গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করার অনুমতি কাউকে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্রে জনতাই প্রভু। নির্ভয়ে নিজের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁদের। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে হিংসার কোনও জায়গা নেই।’ ভাঙড়ে (Bhangar) হিংসার ঘটনায় রাজ্যপাল এতটাই ‘মর্মাহত’ যে, সব কর্মসূচি বাতিল করে তিনি ভাঙড়ে নিজে ছুটে গিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আছড়ে পড়বে ‘বিপর্যয়’! ভাইরাল মহাকাশ থেকে তোলা ঝড়ের শ্বাসরোধী ছবি]
রাজ্যপালের এই পদক্ষেপে রীতিমতো রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে শাসকদল। কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলছেন, “গোটা রাজ্যে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন হচ্ছে। সেটা বিরোধীদের মনোনয়নের সংখ্যাতেই বোঝা যাচ্ছে। সামান্য কয়েকটা জায়গায় এখানে বিরোধীরা প্রার্থী পাচ্ছে না, সেখানে ওরা ঝামেলা করছে। এই দু-এক জায়গার ছবি দেখে, এত বড় বড় কথা বলার তো কোনও মানে হয় না। কীসের ভিত্তিতে এত কথা বলছেন রাজ্যপাল, সেটা ভাবতে হবে। মণিপুর নিয়ে এত কথা বলেন না, উত্তরপ্রদেশ নিয়েও বলেন না। বাংলার রাজ্যপাল হলেও ভারতের নাগরিক হিসাবে টুইট করতে তো বাধা নেই, তাহলে করেন না কেন?”
[আরও পড়ুন: সংবাদ প্রতিদিনের খবরে সিলমোহর, হাইব্রিড মডেলে ঘোষিত এশিয়া কাপের সূচি]
তৃণমূলের দাবি, তৃণমূল সরকারকে বদনাম করতে এবং কেন্দ্রের কাছে নালিশ করার জন্য কয়েকটা জায়গায় হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেছে বিরোধীরা। কুণাল ঘোষ বলছেন, বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে লাফালেও তাতে ফলাফল বিশেষ পরিবর্তন হবে না। এক বুথে ১০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকলেও মানুষের সমর্থনে জিতবে তৃণমূল।