সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসম তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি পদে বসানো হল রিপুন বোরাকে (Ripun Bora)। শনিবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল এরাজ্যের শাসকদল। অসমে তৃণমূলের রাজ্য কমিটি এখনও গঠন হয়নি। রিপুনকে মুখ করেই সেরাজ্যে শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করল ঘাসফুল শিবির।
আগামী ১০ দিনে অসমে ‘মমতা ম্যাজিক’ দেখা যাবে। রিপুন বোরা তৃণমূলে যোগদান করার পরই দাবি করেছিলেন অসমের ভূমিকন্যা তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব (Susmita Deb)। সেই ‘ম্যাজিকের’ শুরুয়াত রিপুনের হাত দিয়েই করতে চায় তৃণমূল। আসলে রিপুন বোরা অসমের অন্যতম অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। দীর্ঘদিনের কংগ্রেসি রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। ছিলেন অসমের মন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদও। রাজ্যের সবস্তরের এবং সব দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। রিপুনের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইছে দল।
[আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশেও চালু হতে পারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি! ইঙ্গিত যোগীর ডেপুটির]
তৃণমূল সূত্রের খবর, দ্রুত গুয়াহাটিতে রাজ্য সদর দপ্তর খোলার চেষ্টা করছে দল। রাজ্য তৃণমূলের যাবতীয় কাজকর্ম সেখানেই করা হবে। সুস্মিতা দেবের দাবি, তৃণমূলের নতুন রাজ্য দপ্তর খোলার পর সেখানেই অন্য দল থেকে আসা নেতাদের যোগদান করানো হবে। আসলে, ২০১৬ সালে ক্ষমতা হারানোর পর উত্তর-পূর্বের এই বড় রাজ্যটিতে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচনে এআইইউডিএফের (AIUDF) সঙ্গে জোট করেও হিমন্ত বিজেপিকে (BJP) চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি তারা। হাত শিবিরের সেই দুর্বলতাই সে রাজ্যে তৃণমূলের পথ সুগম করেছে বলে দাবি নেতৃত্বের। কংগ্রেস থেকে নেতাদের দলে টানার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে রিপুন বোরাই আদর্শ বলে মনে করছে তৃণমূল শিবির।
[আরও পড়ুন: প্রয়াগরাজে খুন একই পরিবারের ৫ সদস্য, তৃণমূলের কাঠগড়ায় যোগী]
গতবছর এরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে রুখে দেওয়ার পরই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সংগঠন বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের বেশ কিছু নেতা ইতিমধ্যেই তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। এবার সুস্মিতা এবং রিপুনের হাত ধরে অসমেও কংগ্রেসে (Congress) ভাঙন ধরার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যা আগামী দিনে বিজেপিশাসিত রাজ্যটিতে তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। অসমে ২০২৪ লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠন বাড়াতে চাইছে তৃণমূল।