সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা ছিলই। সেই জল্পনায় সিলমোহর দিয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে নিয়োগ করা হল পীযুষকান্তি বিশ্বাসকে। দিন কয়েক আগেই দিল্লিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন পীযুষবাবু।
তৃণমূল ত্রিপুরায় (Tripura) বেশ কিছুদিন ধরেই সংগঠন শক্ত করার কাজ করছে। গত পুরসভা নির্বাচনে সেরাজ্যে ভাল ফলও করেছিল ঘাসফুল শিবির। পুরসভার সেই ফলাফলকে হাতিয়ার করে সেরাজ্যে সংগঠনের ভিত তৈরি করেছে তৃণমূল। তবে গত আগস্ট মাসে সুবল ভৌমিকের অপসারণের পর তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির পদটি ফাঁকাই ছিল। এতদিন রাজ্য সভাপতির বদলে দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুস্মিতা দেব। এবার সুবলের জায়গায় স্থায়ী রাজ্য সভাপতি পদে নিয়োগ করা হল পীযুষকান্তি বিশ্বাসকে।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! চলন্ত গাড়ি থেকে দুধের শিশুকে ছুঁড়ে ফেলে মাকে যৌন হেনস্তা]
গত বুধবারই পীযুষ (Pijush Kanti Bishwas) সদলবলে তৃণমূলে যোগ দেন। দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে নাম লেখান প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তেজেন দাস ও অনন্ত ব্যানার্জী, কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি পূর্তিনা চাকমা, সমরেন্দ্র ঘোষরা। সেদিন থেকেই শোনা যাচ্ছিল পীযুষবাবুকে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে। সেই জল্পনাই সত্যি হল। আগামী বছরের শুরুতেই ত্রিপুরায় ভোট। সব ঠিক থাকলে পীযুষবাবুর নেতৃত্বেই ত্রিপুরায় নির্বাচনে যাবে তৃণমূল। আগামী ১২ এবং ১৩ ডিসেম্বর দু’দিনের মেঘালয় সফরে যাওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শোনা যাচ্ছে, সেই সফর চলাকালীন ত্রিপুরার নেতাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে পারেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সংসদে ফের কংগ্রেস-তৃণমূল সুসম্পর্ক! খাড়গের ডাকা বৈঠকে সুদীপ, সৌজন্য দেখালেন অধীরও]
পেশায় আইনজীবী পীযুষবাবু দীর্ঘদিন ধরে ত্রিপুরার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বেশ কিছুদিন প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতিও ছিলেন তিনি। সুদীপ রায়বর্মণ কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তনের আগেই তিনি দল ছাড়েন। তারপর থেকেই তাঁর তৃণমূলে যোগ নিয়ে জল্পনা ছিল। তৃণমূলে যোগ দিয়েই বড় পদ পেয়ে গেলেন তিনি।