ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) প্রণামের শাস্তি। শোকজের পর ইস্তফার নির্দেশ কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্নাকে। যদিও কিছু জানেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাঁথি ১ ব্লকের সাবাজপুট এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে ছিলেন কাঁথির সাংসদ শিশিরবাবু ও পুরপ্রধান সুবল মান্না। পাশাপাশি দুজনকে বসার আসন দেওয়া হয়। প্রদীপ জ্বালানোর সময় শিশিরবাবু সুবল মান্নাকে কাছে ডেকে নেন। শিশিরবাবু বক্তব্য শেষ করার পর পুরপ্রধান সাংসদকে প্রণাম করেন। তারপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদকে রাজনৈতিক গুরু বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, জন্ম দিয়েছেন পিতামাতা ঠিকই। কিন্তু যিনি পথ দেখিয়েছেন,যার জন্যে আজ আমি এখানে, সেই রাজনৈতিক গুরু শিশির অধিকারীকে প্রণাম জানাই।
[আরও পড়ুন: দিল্লির ভরসায় নয়, লড়তে হবে নিজেদের সংগঠনের শক্তি দিয়েই, শুভেন্দুদের বার্তা শাহের]
পুরপ্রধানের এই বক্তব্য নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। শিশিরবাবু এখনও খাতায় কলমে তৃণমূলের সাংসদ হলেও শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে শাসকদলের সঙ্গে তাঁর বহু ক্রোশের দূরত্ব। ফলে এই অনুষ্ঠানের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে অস্বস্তিতে পড়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। প্রণাম কাণ্ডে সুবল মান্নাকে শোকজের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দল। এবার কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলা হল সুবলবাবুকে। এ বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান যেভাবে শিশির অধিকারীকে প্রণাম করে গুরু বলেছেন, তা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ভালোভাবে নেয়নি। ওঁকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে।”