সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরুণাচল সীমান্তে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। এই প্রসঙ্গে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাব তলব করল তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ঘটে যাওয়া সংঘাত নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় মোদি সরকারের কাছে বিবৃতি দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল। একই সঙ্গে সংসদে কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়েছে কংগ্রেসও।এদিকে, অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দুই দেশের বাহিনীক মধ্যে হওয়া খণ্ডযুদ্ধের পর আজ ফৌজের তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে়ন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও।
[আরও পড়ুন: ‘সংবিধান বাঁচাতে মোদিকে খুন করতে হবে’ কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক, ভাইরাল ভিডিও]
উল্লেখ্য, অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরে সংঘর্ষে জড়ায় ভারত (India) ও চিনের সেনা। সূত্রের খবর, ৯ ডিসেম্বর তাওয়াং এলাকার এই সংঘর্ষে জখম অন্তত ২০-৩০ জন জওয়ান। ভারতীয় সেনার দাবি, ভারতের তুলনায় লালফৌজের বেশি সংখ্যক জওয়ান জখম হয়েছেন। তবে সরকারিভাবে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে দু’তরফের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। উত্তেজনা প্রশমনে দুই বাহিনীর স্থানীয় কমান্ডারদের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে বলেও খবর।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে অক্টোবর মাসেও একই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল বহু সংখ্যক চিনা সেনা (PLA)।সেই সময়ও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। তবে সেবার এত মারাত্মক আকার নেয়নি সংঘর্ষ। এবার দু’পক্ষের মধ্যে জোরদার সংঘর্ষ বাঁধে বলেই সূত্রের খবর।
বলে রাখা ভাল, ভারত-চিন সীমান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত করছে মোদি সরকার। মণিপুর লাগোয়া মায়ানমার সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে রেলপথ। অরুণাচল লাগোয়া চিন সীমান্তে দ্রুত সেনাবাহিনী ও যুদ্ধ ট্যাংক পৌঁছে দিতে তৈরি হচ্ছে সড়কপথও। গত নভেম্বরে অরুণাচল প্রদেশে প্রথম গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এহেন পরিস্থিতিতে লালফৌজের আগ্রাসী মনোভাব বেজিংয়ের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে দিল।