নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: মহিলা ইস্যু নিয়ে সংসদে সরকারপক্ষ তথা বিজেপিকে (BJP) কোণঠাসা করার রণকৌশল তৈরি করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সংসদের বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় সপ্তাহে দলের মহিলা সাংসদ থেকে মন্ত্রীদের লোকসভা ও রাজ্যসভার অন্দরে সামনে এগিয়ে দিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে সরকারপক্ষ। পালটা মহিলা অস্ত্রেই বিজেপিকে নিশানা করার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।
শুক্রবার দুপুরে দলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে গুজরাটের (Gujarat) গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী অর্জুন সিং চৌহানের ছবি-সহ তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলাকে ‘ধর্ষণ ও বেআইনিভাবে আটকে রাখার’ খবর পোস্ট করা হয়েছে। ‘শেমঅনবিজেপি’ হ্যাশট্যাগে পোস্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যুক্ত করে লেখা হয়েছে, “পিএম নরেন্দ্র মোদি, মহিলা সুরক্ষা নিশ্চিত করা নিয়ে আপনার বড় বড় দাবি এখন কোথায় গেল? এটা আপনার নিজের জায়গাতেই হয়েছে!”
[আরও পডুন: শান্তিনিকেতনের বাগানবাড়ি ‘অপা’র মালিক পার্থ ও অর্পিতাই, প্রকাশ্যে এল দলিল]
নারী নিরাপত্তার ইস্যুকে সামনে রেখে আগামী সোমবার থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস যে মাঠে নামতে চলেছে, তার প্রমাণ মিলেছে দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের (Derek O Brien) করা টুইট থেকেই। টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi) ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) ট্যাগ করে তিনি লিখেছেন, ‘‘সোমবার সকাল থেকে আপনাদের দু’জনের সঙ্গেই দেখা হবে। আপনারা যেভাবে বিরোধীদের অসম্মান করছেন, এই বিষয়টিকে সামনে আনতে তৎপর হয়েছেন তাতে আমরা সবাই অপেক্ষা করছি। সোমবার বেলা ১১টা। দেখা হবে। বি.দ্র – যদি ৫৬ ইঞ্চি না আসেন, নম্বর ২কে পাঠান।’’
[আরও পডুন: আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, পাল্লা দিয়ে বাড়বে তাপমাত্রাও]
সূত্রের খবর, সোমবার সকাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস অবিলম্বে মহিলা সংরক্ষণ বিল সংসদে নিয়ে এসে পাস করানোর দাবি তুলবে। দলের মহিলা সাংসদদের এ বিষয়ে সামনে এগিয়ে দেওয়া হবে বলেও ঠিক হয়েছে। মহিলা সংরক্ষণ বিল পাসের দাবিতে তৃণমূল যে বাদল অধিবেশেনে সরব হবে তা আগেই ঠিক হয়েছিল। সেইমতোই এগোবেন তাঁরা। পাশাপাশি, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) বিজেপির মহিলা মন্ত্রী ও সাংসদরা নিগ্রহ করার চেষ্টা করার যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধী ঐক্য যে অটুট আছে, মহিলা ইস্যুকে সামনে এনে তৃণমূল সুকৌশলে সেই বার্তাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। এমনই অভিমত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।