রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ফের তৃণমূলের কাছে ধাক্কা খেল রাম-বাম জোট! বিজেপি-সিপিএম জোটকে ধরাশায়ী করে বিপুল জয় ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ১২টি আসনেই জয়ী শাসক দল।
মঙ্গলবার এগরা ১ ব্লকের নেগুয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট হয়। ১২টি আসনে তৃণমূল ও রাম-বাম জোটের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয় সকাল ১০ টায়। শেষ হয় বিকেল ৪ টেয়। সমবায় সমিতির মোট ভোটার ৯১০জন। ভোট পড়ে ৭৭৩টি। তৃণমূলের সর্বোচ্চ ভোট ৫৫৭টি এবং সর্বনিম্ন ভোট ৫৫০টি। কিন্তু রাম-বাম জোটে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ১৬০টি।
স্বাভাবিক ভাবে বিরোধীদের ক্লিন সুইপ করার পরে ঘাসফুল শিবিরে (TMC) উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। সবুজ আবীর উড়িয়ে শাসক দলের কর্মীরা বিজয় উল্লাস করেন। পথচলতি মানুষদের মিষ্টি মুখও করানো হয়। এই বিপুল জয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে শাসকদলকে। এমনই মত রাজনৈতিক মহলের।
[আরও পড়ুন: অবশেষে উঠল বয়কট! ‘আদালতের সন্মান নষ্ট করবেন না’, আরজি বিচারপতি মান্থার]
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি বলেন, “একের পর এক জয় থেকে প্রমাণিত, তৃণমূলের উপর মানুষ আস্থা রেখেছেন। তাই যত ভোট হবে মানুষ তৃণমূলকেই জয়ী করবে। কারণ,মানুষ বুঝতে পেরেছে সিপিএম ও বিজেপি দুই পৃথক মতাদর্শের দল নিজেদের স্বার্থে হাত মিলিয়েছে। তাই মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে।”
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডলের পালটা বক্তব্য, সমবায় সমিতির নির্বাচনের সঙ্গে পঞ্চায়েত বা অন্য নির্বাচনের অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। সমবায় সমিতিতে বেশিরভাগ পরিচালন কমিটির অর্থাৎ অফিসিয়াল প্যানেল জয়লাভ করে থাকে। কারণ, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে নিজদের আত্মীয়, বন্ধুদের সদস্য করে রাখে। তাই এই ভোটের কোনও প্রভাব পড়ে না অন্য ভোটে। তাছাড়া জোটের কথা তৃণমূল বলছে। এখানে কোনও দলের প্রতীক বা পতাকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিত হয় না। তাই জোট নিয়ে মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল।