শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: আবাসের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকতেই গ্রামবাসীর বাড়ি গিয়ে কাটমানি দাবি তৃণমূলের মহিলা বুথ সভাপতির। সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিও। তা নিয়ে শোরগোল বিভিন্নমহলে। সোশাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। চাপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত বুথ সভাপতি দাবি করলেন, তিনি সদ্য দায়িত্ব পেয়েছেন। তাই জানতেনই না এভাবে টাকা চাওয়া যায় না!
সম্প্রতি আবাস যোজনার টাকা ছেড়েছে রাজ্য। টাকা পেয়েছেন মুর্শিদাবাদের কাশিমনগর পঞ্চায়েতের গাজিপুরের ৪৯ নম্বর বুথের বাসিন্দা চেনু বিবিও। অভিযোগ, তার পরই ওই বৃদ্ধার বাড়িতে হাজির হন বুথ সভাপতি নীলিমা দাস। ২০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, পালটা চেনু দেবী জানান, অনেকেই এসে টাকা চাইছেন। এভাবে বাড়ি কী করে তৈরি হবে। একথা শুনে কার্যত রেগে যান নীলিমা। প্রধানের নাম ব্যবহার করে বলেন, "আমি ছাড়া কেউ টাকা চাইলে দেবেন না।" চেনু দেবীর অভিযোগ, দাবি পূরণ না করলে টাকা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
ঘটনাচক্রে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নীলিমাদেবীর ভিডিও। তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সেই ভিডিও শেয়ার করেন। নিশানা করেন তৃণমূলকে। এরপরই চাপের মুখে গোটা ঘটনায় মুখ খুলেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী। বলেন, "আমি তো নতুন। আমি জানতাম না কী থেকে কী হয়। আমাদের তো খাটাখাটনি করতে হয়, তাই দাবি করেছিলাম। আমার ভুল হয়েগিয়েছে।"
এপ্রসঙ্গে সুতির তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস জানান, সুতি ২ নম্বর ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও মহিলা বুথ সভাপতি নেই। তৃণমূলে ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই তাঁদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করছে।