ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শাহি সভার দিনই কালা দিবস পালন করবে তৃণমূল। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়কদের কালো পোশাক পরে আসার নির্দেশ দিল পরিষদীয় দল। মঙ্গলবারও ধরনা, পালটা ধরনায় পারদ চড়েছে বিধানসভার। একদিকে কেন্দ্রের বঞ্চনা বিরুদ্ধে ধরনা দিচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে পালটা ধর্নায় বসেছে বিজেপি।
২৯ নভেম্বর কলকাতায় সভা করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপির দাবি, ১০০ দিনের কাজ-সহ নানান প্রকল্পে দেদার দুর্নীতি হয়েছে বাংলায়। রাজ্যের তরফে খরচের হিসেব দেওয়া হচ্ছে না। তাই কেন্দ্রের তরফে টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ‘তত্ত্ব’ প্রমাণ করতে ধর্মতলায় সভা করছে বিজেপি। সেখানে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সভার দিনই পালটা ‘কালা দিবস’ পালন করবে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: ‘বউ চোর!’, পিয়ার সঙ্গে বিয়ে হতেই পরমব্রতকে ট্রোল, বাদ পড়লেন না অনুপমও]
রাজ্যের শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়য়ন্ত্র করছে বিজেপি। মিথ্য়ে অভিযোগ আনা হচ্ছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। আবার তারাই মিথ্য়ে অভিযোগ এনে সভা করছে। এরই প্রতিবাদে ‘কালা দিবস’ পালনের ডাক দিল তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: কাল হল অতিরিক্ত মদ্যপান, ভেন্টিলেশনে ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বাল]
এদিকে এদিন রাজ্য়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু দুর্নীতি ইস্যুতে মুলতবি প্রস্তাব শুধু পড়তে দেওয়া হয়। তা নিয়ে আলোচনার অনুমতি না দেওয়ায় স্পিকারের সামনেই অধিবেশনের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বাকিরা চোর স্লোগান দিতে থাকে। এর পরই অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন তাঁরা। অধিবেশন কক্ষের বাইরেও স্পিকার যখন সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আবারও চোর স্লোগান দেওয়া হয়। সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এদিকে এপ্রসঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “সবকিছুর একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। যারা এরকম মুলতুবি প্রস্তাব আনছে, তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন এটা কি আদৌও উচিত?”