শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: শরীরে বিস্ফোরণের ক্ষত টাটকা। এখনও চলছে চিকিৎসা। সেই অবস্থাতেই মনোনয়ন পেশ করতে হেলিকপ্টারে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) পৌঁছলেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন। কথা বললেন দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে। নাম না করে নিমতিতা কাণ্ড নিয়ে নিশানা করলেন সুতির তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক ইমানী বিশ্বাসকে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বে সিলমোহর পড়েছে। ভোটের মুখে যা অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসকদলের।
১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ধরতে নিমতিতা স্টেশনে গিয়েছিলেন জাকির হোসেন। সেই সময় স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণ হয়। যার জেরে গুরুতর জখম হন শ্রমমন্ত্রী-সহ কমপক্ষে ২৩ জন। রাতেই জাকির হোসেনকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। সেই থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মন্ত্রী। অস্ত্রোপচারের পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। কিন্তু জঙ্গিপুর থেকে এবারও তাঁকেই প্রার্থী (TMC candidate) করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফলে এলাকায় যাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু তার পক্ষে প্রচারে যাওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলে আগেই শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছিলেন মনোনয়ন পেশ করতে মুর্শিদাবাদ যাবেন তিনি। সেই মতোই রবিবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে হেলিকপ্টারে মুর্শিদাবাদে যান তিনি। জঙ্গিপুরের বাড়িতে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর দাপট, বীরভূমে ঝড়-বৃষ্টিতে গাছ উপড়ে বিপত্তি, কমল তাপমাত্রা]
এদিকে ইতিমধ্যেই নিমতিতা বিস্ফোরণে নাম জড়িয়েছে সুতির বিদায়ী বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী ইমানি বিশ্বাসের। NIA এর তরফে একাধিকবার তলব করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনার পিছনে তাঁর যোগ রয়েছে, এই অভিযোগও উঠছে। রবিবার এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জাকির হোসেন বলেন, “কোনও কারণ ছাড়া তো কাউকে ডাকা হবে না। নিশ্চয়ই কিছু আছে। উনি যদি দোষী হয়ে থাকেন তবে যেন কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হয়।” যা স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। উল্লেখ্য, ৬ তারিখ মনোনয়ন পেশ করবেন শ্রমমন্ত্রী। ৮ তারিখ ফের কলকাতার হাসপাতালে ভরতি করা হবে জাকির হোসেনকে।