shono
Advertisement

হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র পেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, ‘খেলা হবে’, বলছেন কর্মীরা

পদযাত্রা করে মনোনয়ন জমা দিতে SDO অফিসে পৌঁছান তৃণমূল নেত্রী।
Posted: 02:01 PM Mar 10, 2021Updated: 03:46 PM Mar 10, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ঠিক ১টা ৪৮ মিনিট। হলদিয়ার SDO অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC candidate Mamata Banerjee)। নন্দীগ্রাম থেকেই এবার লড়বেন তিনি।  

Advertisement

একুশের ভোটে (Assembly Elections 2021) বাংলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন নন্দীগ্রাম। কারণ এই আসনই বাংলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিতে পারে। গতকালই নন্দীগ্রামে কর্মিসভা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন একাধিক মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। রেয়াপাড়া শিবমন্দিরেও পুজো দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপর  মঞ্জুশ্রী মোড় থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে এক কিলোমিটার পদযাত্রা করে মনোনয়ন জমা দিতে পৌঁছান SDO অফিসে। নির্ধারিত সময়ের আগেই সেখানে উপস্থিত হন তিনি। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত বক্সী।  মহকুমা শাসকের অফিসের বাইরে তখন রীতিমতো জনতার ঢল। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। শোনা যায় ‘খেলা হবে’ স্লোগানও। 

[আরও পড়ুন: বিজেপিতে গিয়েও লাভ হল না সরলা মুর্মুর! প্রাক্তন তৃণমূল নেত্রীর প্রার্থী হওয়া নিয়েই সংশয়]

মনোনয়ন পেশের পর তৃণমূল নেত্রী বলেন, “আমার মনোনয়নের চারজন প্রপোজার আছেন। মহাদেব, স্বদেশ দাস, সুষমা ও আব্দুর সামাদ। সুফিয়ান হয়েছেন চিফ ইলেকশন এজেন্ট। নন্দীগ্রাম আরও কিছু ছোটখাটো কর্মসূচি রয়েছে। আগামিকাল কলকাতা ফিরে যাব।” এরপরই জুড়ে দেন, “নন্দীগ্রাম আমার কাছে নতুন জায়গা নয়। প্রতিবার আমার নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পাশে ছিলাম। তাই সিঙ্গুর কিংবা নন্দীগ্রাম থেকে একবার লড়তে চেয়েছিলাম। নন্দীগ্রামে এসে তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম, এখান থেকে লড়ব? আর সম্পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলাম। আশা করি, সবাই আমাকে ভোট দেবে।” 

এদিন বিকেলে যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুরের রানিচকে। আবার বৃহস্পতিবারই প্রকাশিত হবে তৃণমূলের ইস্তেহার। সুতরাং আগামিকাল কলকাতাতেই থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই নন্দীগ্রামে আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় ‘বহিরাগত’ ব্যানার-পোস্টার পড়া নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথকে ‘বহিরাগত’ বনাম ‘ভূমিপুত্র’র লড়াই হিসেবেই তুলে ধরতে চেয়েছে বিজেপি। গতকাল কর্মিসভায় দাঁড়িয়ে সেই বহিরাগত মন্তব্যের জবাব দেন মমতা। অতীত আন্দোলনের কথা তুলে ধরে বুঝিয়ে দেন তিনি ঘরের মেয়ে। তারপরই প্রশ্ন করেন, “আমিও বহিরাগত? তাহলে তো আমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই উচিত ছিল না। আপনারা চাইলে তবেই মনোনয়ন জমা দেব। আপনাদের অনুমতি না পেলে দাঁড়াব না। আপনারাই বলুন কী করব।” প্রত্যাশিতভাবেই ইতিবাচক সাড়া পান কর্মিসভায় দাঁড়িয়ে। আর তারপরই এদিন মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ভাঙন অব্যাহত, বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তৃণমূল ছাড়লেন পানিহাটির তিন বিদায়ী কাউন্সিলর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার