দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: রবিবার ব্রিগেড মঞ্চে যাদবপুরের (Jadavpur) প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee)। দলের টিকিট পেয়েই জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। মঙ্গলবার বারুইপুরে জনসংযোগে গিয়ে রেস্তরাঁয় মোমো বানাতে দেখা গেল তাঁকে। পাশাপাশি উৎসাহ দিলেন রেস্তরাঁর মহিলা কর্মীদের। এদিন সায়নীর প্রচারের ধরনে অনেকটা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছায়া দেখছে রাজনৈতিক মহল।
পোশাক থেকে শুরু করে ভাষণ, এমনকী জনসংযোগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সায়নী ঘোষের অনুকরণ নতুন কিছু নয়। এই যাদবপুর কেন্দ্রে ১৯৮৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতীতের জয়ের কথা তুলে ধরে ভোটের প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের যুবনেত্রীকে। জেলা সফরে দার্জিলিংয়ে গিয়ে একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে পাহাড়ি মহিলাদের সঙ্গে মোমো বানাতে। মঙ্গলবার জনসংযোগে গিয়ে সে সুযোগ হাতছাড়া করলেন না সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। বারুইপুরে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে গিয়ে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত আহারে বাংলা রেস্তরাঁয় উপস্থিত হন তিনি। সেখানে মহিলা কর্মীদের মোমো বানাতে দেখে তাঁদের সঙ্গে হাত লাগান সায়নীও। যাদবপুরের প্রার্থীকে দেখা যায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জড়িয়ে ধরে উৎসাহ দিতেও।
[আরও পড়ুন: ১০০ দিনের টাকা থেকে কাটমানি! অভিযুক্ত উপপ্রধানের স্বামী]
এর পাশাপাশি বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভাতেও জোরকদমে প্রচার সারছেন সায়নীকে। বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সায়নীকে পরিচয় করিয়ে দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে। প্রার্থী পরিচিতির পাশাপাশি সাংগঠনিক বৈঠক ও বারুইপুর কাছারি বাজার থেকে পদ্মপুকুর মোড় পর্যন্ত একটি মিছিল করেন তৃণমূল প্রার্থী। যেখানে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর পৌরসভার উপ-পৌর প্রধান গৌতম দাস ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। চলে দেওয়াল লিখনও।