সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই উপনির্বাচন হয়ে গিয়েছে। আগামী ১ জুন বরানগরে উপনির্বাচন। সেখানে শাসকদলের তরফে লড়ছেন তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় । লাগাতার এই কেন্দ্রে প্রচার, জনসংযোগ সারছেন তিনি। এবার বরানগরবাসীর জন্য সায়ন্তিকা প্রকাশ করলেন 'অঙ্গীকার পত্র'। যা আসলে নির্বাচনী ইস্তেহার। আর সেই অঙ্গীকার পত্রে চমকও দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। উপনির্বাচনে জিতে বরানগরের বিধায়ক হলে 'সম্পূর্ণা' নামে একটি প্রকল্প চালু করতে চান তিনি। প্রত্যেক বালিকা বিদ্যালয় এবং কো-এড স্কুলে বসানো হবে স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন! এলাকার মেয়েদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মহিলা প্রার্থী। এছাড়া একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে সায়ন্তিকার ৬ দফা অঙ্গীকার পত্র।
দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বরাবরই নারীর ক্ষমতায়নে জোর দিয়েছেন। সরকারি বহু প্রকল্প শুধুই নারীদের জন্য। আর সেই নেত্রীরই সৈনিক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। ফলে তিনি জনপ্রতিনিধি হলে যে মহিলাদের জন্য কাজকে প্রাধান্য দেবেন, তা স্বাভাবিক। আর সেইমতোই নিজের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিলেন বরানগরের তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate)। শুক্রবার ৬ দফা প্রতিশ্রুতিতে নিজের অঙ্গীকার পত্র প্রকাশ করেছেন তিনি। তাতে যেমন স্বচ্ছ, সবুজ বরানগর গড়ার কথা রয়েছে, তেমনই রয়েছে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ, বিধায়ক সহায়ক কেন্দ্র, নবদিশা উৎকর্ষ কেন্দ্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও।
[আরও পড়ুন: মাদক খেয়ে উদ্দাম যৌনলীলা! মিলনের ‘আজব’ পরীক্ষায় প্রাণ গেল যুবতীর]
তবে সবচেয়ে চমক 'সম্পূর্ণা' প্রকল্প। তাতে বরানগরের (Baranagar) প্রত্যেক কো-এড স্কুল ও গার্লস স্কুলে স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন বসানো হবে। স্কুল চলাকালীন কোনও ছাত্রী ঋতুমতী হয়ে পড়লে যাতে হাতের কাছে তার সমাধান পেতে পারে, সেদিক খেয়াল রেখে তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকার এই উদ্যোগ। এছাড়া এলাকায় 'সম্পূর্ণা' ক্লাব তৈরি হবে, যার মাধ্যমে লাইব্রেরি, স্মার্ট ক্লাসের সুবিধা পাবে ছাত্রছাত্রীরা। বরানগরে পানীয় জল এবং ভালো রাস্তার সমস্যা বরাবরের। তার সুরাহা করে দেবেন বলে বরানগরবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সায়ন্তিকা। তাঁর এই অঙ্গীকার পত্রকে প্রশংসার চোখেই দেখছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে এসব কাজের সুযোগ পাবেন কি না, তা তো ভোটের ফলপ্রকাশের দিনই বোঝা যাবে।