রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠানে ভারচুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অথচ গরহাজির রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় (Bengal CM Mamata Banerjee)। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিল মালব্যের অভিযোগ, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।
বিজেপি (BJP) আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য নিজের টুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘পিসি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। বিশ্বভারতীর আমন্ত্রণপত্র হিসেবে উল্লেখ করে একটি চিঠিও টুইটারে সংযুক্ত করেছেন তিনি। সঙ্গে লিখেছেন, “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিসেম্বরের চার তারিখে আমন্ত্রণপত্র পাঠায়। কিন্তু তাঁর কাছে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর চেয়ে রাজনীতিটাই প্রাধান্য পেল। এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথকে এভাবে অপমান করেননি।” তাঁর আরও অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী এই সংকীর্ণ মানসিকতা বাংলাকে আরও অন্ধকারে ডুবিয়ে দিচ্ছে।”
[আরও পড়ুন : ‘গুরুদেবের দৃষ্টিভঙ্গিই আত্মনির্ভর ভারতের আধার’, বিশ্বভারতীর শতবর্ষে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর]
বিজেপি নেতার এই অভিযোগের পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন্ রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু। সেখান থেকে তিনি জানান, বিশ্বভারতীর তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাহলে যে চিঠিটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেটি কি ভুয়ো, সাংবাদিকরা জানতে চান। তাঁদের পালটা প্রশ্ন করেন ব্রাত্য, “সেই চিঠির কোনও প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়েছিল কি? ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের নথি আছে কি? উপাচার্য নিজেই সই করে নিজের কাছে ওই চিঠি রেখে দিয়েছিলেন নাকি?”
অনুষ্ঠানের আগের রাতে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়েছিল বলে কয়েকজন সাংবাদিক দাবি করেন। জবাবে ব্রাত্য জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে আমন্ত্রণ জানানো যায় না। সবমিলিয়ে বিশ্বভারতীয় অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।