রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নেমেছিল তৃণমূল। মিছিল শেষে সভা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু বিপত্তি হল সভার শেষে। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার সময়ে জাতীয় সংগীত গাইলেন জেলার নেতানেত্রীরা। মাইক ছিল সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর রিনা দাসের হাতে। তিনি গেয়ে উঠলেন ভুল জাতীয় সংগীত। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল। নেটদুনিয়ায় কটাক্ষের শিকার তৃণমূল কাউন্সিলর। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি SangbadPratidin.in।
পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস ও সিংহভাগ ওষুধের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির সাংগঠনিক জেলার ডাকে মঙ্গলবার কাঁথি শহরে সভা করে তৃণমূল। ভবতারিণী মন্দির প্রাঙ্গন থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। পরে শহর ঘুরে বড় ডাকঘরের সামনে পথসভা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস, জেলা সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা ও যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি-সহ কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর এবং জেলা নেতৃত্ব। এই মঞ্চ থেকে একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনা করেন শাসক শিবিরের নেতানেত্রীরা।
[আরও পড়ুন: বাতিল রাজ্যের ফুড সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের প্যানেল, সংশয়ে ৯৯৭ সফল চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ]
আর সেই মঞ্চেই জাতীয় সংগীত শুরু করেন কাঁথির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলর রিনা দাস। জাতীয় সংগীত অজস্র ভুলে ভরা। সেই সময় ওই তৃণমূল কাউন্সিলরের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। রিনা দাস শুধু কাউন্সিলরই নন। তিনি পেশায় একজন পার্শ্বশিক্ষক। কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলও বটে। তাই তাঁর মুখ থেকে এই গান শোনার সঙ্গে সঙ্গে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এ বিষয়ে যদিও রিনা দাসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ভুল করেছেন বুঝেই মঞ্চ থেকে নেমে চলে যান তিনি।
এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, “ওই সভায় জাতীয় সংগীতের অবমাননা করা হয়। যা দণ্ডনীয় অপরাধ।” তবে তৃণমূল কাউন্সিলরের এই কাণ্ডে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবিরও।
দেখুন ভিডিও: