বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: উপনির্বাচনের জন্য থমকে রয়েছে রাজ্যের উন্নয়ন। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তার সমাধান সূত্র খুঁজতে শনিবার দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। জাতীয় নির্বাচনে কমিশনের ফুল বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্যের শাসক শিবির। সূত্রের খবর, প্রতিনিধি দলে থাকবেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন, সাংসদ কীর্তি আজাদ, সুস্মিতা দেব ও সাকেত গোখলে। তৃণমূলের তরফে এক লিখিত বিবৃতি মারফত জানানো হয়েছে, উপনির্বাচনের জন্য এলাকার উন্নয়ন আটকে রয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে দলের তরফে সময় চাওয়া হয়েছিল দিল্লির নির্বাচন কমিশনের কাছে। তাঁদের আবেদনে সাড়া দিয়ে শনিবার আলোচনায় বসবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেন সুদীপ, ডেরেকরা।
আগামী ১৩ নভেম্বর, বুধবার রাজ্যের ছটি কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন। তার মধ্যে রয়েছে নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, সিতাই, মাদারিহাট, তালড্যাংরা। সবই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের কেন্দ্র। আর উপনির্বাচনের কারণে এসব এলাকার উন্নয়নের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। এমনকী কোনও সরকারি প্রকল্পের অর্থও বণ্টন করা যাচ্ছে না। ২৩ নভেম্বর ফলপ্রকাশের পর নতুন বিধায়করা শপথ না নিলে কাজ শুরু করাও যাবে না। আর তা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। শাসকদল তৃণমূল তা নিয়ে চিন্তিত। আশু সমাধান কী হতে পারে, তা খুঁজতেই কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে আলোচনা চায় তারা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এনিয়ে দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যোগাযোগ করেছিলেন জনপ্রতিনিধিরা। তাতে সাড়া দিয়ে শনিবার আলোচনায় বসার জন্য সময় দিয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, কীর্তি আজাদ, সাকেত গোখলে ও সুস্মিতা দেব যাবেন কমিশনের দপ্তরে। আলোচনা থেকে কোন সমাধান বেরয়, সেদিকে নজর থাকবে সকলের। শনিবার বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন বলে খবর।