সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও বীরবাহা হাঁসদার কনভয়ে ‘হামলার চক্রান্তে’ বিরোধী দলনেতার যোগসাজশ খতিয়ে দেখতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলল তৃণমূল (TMC)। কনভয়ে হামলার ঘটনায় ধৃত রাজেশ মাহাতোকে নিয়ে বিরোধী দলনেতার একটি ভিডিও প্রকাশ করে তৃণমূল। সেই ভিডিও দেখিয়ে কনভয় হামলার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) যোগসাজস নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তেরও দাবি জানানো হয়েছে।
তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে ধৃত রাজেশ মাহাতোকে নিয়ে শুভেন্দুর ভিডিও দেখানোর পর তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজেশ মাহাতোকে আইনি সাহায্য-সহ সবরকম সহায়তা করতে প্রস্তুত বলছেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযুক্তকে সমর্থন করছেন স্পষ্টভাবে। এই হামলার চক্রান্তে শুভেন্দু প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারেন। হামলার ষড়যন্ত্রে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।”
[আরও পড়ুন: চাপের চাকরি করার দরকার নেই, মেয়েকে মাসে ৪৭ হাজার বেতন দেবেন মা-বাবাই!]
সোমবার আদালত চত্বরে কুড়মি সমাজের লোকেরা ভিড় জমিয়েছিলেন। ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তারা। আন্দোলনকারী সারা ভারত কুড়মি সমন্বয় সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি অশোক মাহাতো বলেন, ‘‘বিজেপি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আছে বলা হচ্ছে। তা হলে কেন কুড়মি আন্দোলনকারী ও নেতাদের ধরা হচ্ছে? যাঁদের ধরা হচ্ছে, তাদের কি বিজেপির কোনও পরিচয় রয়েছে? যদি তা দেখাতে না পারেন, তা হলে ১২ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’’ ধৃত কুড়মি নেতাদের পুলিশ হয়রান করছে বলে বিরোধী নেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বাম জমানায় জঙ্গলমহলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একটা প্রোগ্রাম থেকে ফেরার পথে কী একটা ফেটেছিল। তারপর আশপাশের তিন-চার জেলায় তিন-চার দিন ধরে তাণ্ডব চলে পুলিশের। ৪০ জন গৃহবধূকে থানায় আটক করে হেনস্তা করা হয়। কিন্তু এবার কনভয়ে মন্ত্রীর গাড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশি অতিসক্রিয়তা আদৌ ছিল না। ’’ কনভয়কাণ্ডের জেরে কুড়মিদের পুলিশ হয়রান করছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ করে দেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।