সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এবার তার পালটা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। খতিয়ান দিয়ে জানালেন UPA জমানার চেয়ে বাংলা বেশি টাকা পেয়েছে মোদির আমলে। এমনকী, কোন খাতে কত টাকা দিয়েছে দিল্লি, ধর্মতলার সভা থেকে তাও তুলে ধরলেন তিনি। যদিও শাহি দাবিকে বিভ্রান্তিকর তথ্য বলে দাবি করেছেন শাসকদল তৃণমূল।
বঞ্চনা ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্যের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার মতো প্রকল্পের বকেয়া আদায়ে দিল্লিতে ধরনা দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। এমনকী, বঞ্চিতদেরও দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে আন্দোলন করেছে। ধরনা দিয়েছে রাজভবনের গেটেও। তবু বকেয়া মেলেনি। ফলে চাপানউতোর চলছেই। রাজ্যের পালটা ধর্মতলায় সভা করে বঞ্চনার অভিযোগ ওড়ালেন শাহ।
[আরও পড়ুন: দণ্ড সংহিতা নিয়ে এত তাড়াহুড়ো কীসের? অমিত শাহ শহর ছাড়ার আগেই পত্রবোমা মমতার]
তাঁর কথায়, মমতা দিদি আমার বক্তব্য শুনুন। কেন্দ্র কী কী দিয়েছে রাজ্যকে, তার খতিয়ান নিয়ে এসেছি। বাংলা কংগ্রেস জমানার চেয়ে বেশি টাকা পেয়েছে মোদির আমলে। এর পরই শাহ দাবি করেন, দিল্লিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাকে ২ লক্ষকোটি টাকা দিয়েছিল। গত ৯ বছরে নরেন্দ্র মোদির সরকার দিয়েছে ৬ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা। মনরেগা বা ১০০ দিনের কাজের খাতে বরাদ্দ বেড়েছে তিনগুণ। কংগ্রেস জমানায় বাংলা পেয়েছিল ১৪ হাজার কোটি টাকা। বিজেপি আমলে সেই বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রের ৪ টি প্রকল্পে আরও ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। শাহের দাবি, জাতীয় সড়ক তৈরিতে দেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকা, রেল প্রকল্পে দিয়েছে ১৬ হাজার কোটি, বন্দরের জন্য দেওয়া হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও সেচের দরুন দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। এর পরই শাহের খোঁচা, “তবু দিদি বলেন কিছুই দেওয়া হয় না।”
যদিও এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য়ের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, “অমিত শাহের দাবি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। উনি যা হিসেব দিচ্ছেন তার ব্যাখ্য়া দিতে হলে মুদ্রাস্ফীতির কথা বলতে হয়। বক্তব্যে বঞ্চনা নিয়ে একটা শব্দ নেই। রাজ্য থেকে জিএসটি তুলে নিয়ে যাচ্ছে, তার টাকাও পাচ্ছে না বাংলা।”