সৌরভ মাজি, বর্ধমান: দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কৃত তৃণমূল (TMC) নেতা। বিধায়কের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ব্লক সভাপতি করা না হলে দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলেন বর্ধমানের ওই নেতা। এরপর শনিবার ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হল বলে জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি। যদিও ওই নেতা তাঁর বহিষ্কার নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ৩০ তারিখ দল কী সিদ্ধান্ত নেয় তার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
একের পর এক ব্লক নেতৃত্বে বদল ঘটাচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পূর্ব বর্ধমানের ব্লক সভাপতিদের নামের তালিকা ঘোষণার আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূল নেতা। শুক্রবার বর্ধমান ২ ব্লকের কিষান ক্ষেত মজুর সংগঠনের সভাপতি শেখ মহসিন জানিয়েছিলেন, বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নিশীথ মালিককেই ব্লকের সভাপতি করা উচিত দলের। তাঁর কথায়, “২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় খোলার মতো কোনও নেতা ছিল না। সংগঠন সামলানোই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে নিশীথ মালিকের নেতৃত্বে দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে।” তাই নিশীথ মালিক মনোনীত বা তাঁকেই ব্লক সভাপতি করার দাবি জানান তিনি। এরপরই জেলাজুড়ে তৈরি হয় বিতর্ক।
[আরও পড়ুন: বিহারের সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে নোটের পাহাড়! উদ্ধার ঘুষের কোটি-কোটি টাকা]
দলেরই এক শাখা সংগঠনের নেতা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলায় অস্বস্তি পড়ে জেলা তৃণমূল। দল কাকে ব্লক সভাপতি মনোনীত করবে সেই তালিকা ঘোষণার আগেই শেখ মহসিন মন্তব্য করায় তাঁকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হল। এ জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দলবিরোধী কাজের জন্য শেখ মহসিনকে তৃণমূল থেরে ৫ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হল।”
জবাবে বহিষ্কৃত নেতা শেখ মহসিন বলেন, “দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা সভাপতিকে চিঠি লিথে পুরো বিষয়টা জানিয়েছি। ২০১১ সালে যাঁরা দলের বিরুদ্ধে ছিল। তাঁরা এসে এখন ব্লক সভাপতি হলে মানা সম্ভব নয়। ৩০ তারিখে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দেখি। তারপর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেব। বহিষ্কার নিয়ে এখনই কিছু ভাবছি না।”