স্টাফ রিপোর্টার: দলের ভাণ্ডারে আরও ‘লক্ষ্মী’ টানতে এবার পথে নামছে তৃণমূল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টানে জোড়াফুলে মহিলা ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার দলের মহিলা সংগঠন আরও শক্তিশালী করতে পথে নামছে তৃণমূল। বস্তুত এই লক্ষ্যে আগামী ১ আগস্ট থেকে টানা একমাসব্যাপী রাজ্যের সমস্ত ব্লক ও পুর অঞ্চলে 'বৈঠকী সাক্ষাৎ' করবে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস।
এর পর সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম দুসপ্তাহব্যাপী সাংগঠনিক জেলায় 'মুখোমুখি আমরা' দলের মহিলা কর্মী ও সদস্যদের নিয়ে কর্মিসভা করা হবে। শনিবার তৃণমূল ভবনে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য কমিটি ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠকের পর সংগঠনের এই কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন রাজ্য সভানেত্রী ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। সংগঠনের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ মালা রায় (Mala Roy) জানিয়েছেন, আগামী ৩ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই, ২১ জুলাই ‘ধর্মতলা চলো’-র সমর্থনে প্রতিটি জেলায় মহিলাদের কর্মিসভা হবে। ২১ জুলাই প্রত্যেকটি জেলা থেকেই আগেরবারের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় মহিলা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ছেলেধরা গুজবের মাঝে নিখোঁজ একই স্কুলের ৫ ছাত্রী, চাঞ্চল্য মগরায়]
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সাফল্য এবার নির্বাচনী ফলের পর দলের সংগঠনেও টানতে চাইছেন চন্দ্রিমা-মালারা। উল্লেখ্য, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের টানে এমনিতেই অন্য দলের তুলনায় তৃণমূলের মহিলা কর্মী-সমর্থকদের সংখ্যা অনেক বেশি। তার উপর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সেই কর্মী সমর্থনে আরও জোয়ার আনতে চাইছে দল।
দলের মহিলা সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখ করে এদিন চন্দ্রিমা বলেন, "নির্বাচন পরবর্তীতে সাংগঠনিক জেলাভিত্তিক রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের অনেক জেলায় মহিলা ভোট বাড়লেও কোচবিহার ছাড়া অন্য কেন্দ্রে সাফল্য আসেনি। আবার দক্ষিণবঙ্গের অনেক কেন্দ্রে দল জিতেছে কিন্তু মহিলা ভোটারদের আশানুরূপ সমর্থন পাওয়া যায়নি। এ কথা ঠিক, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ মুখ্যমন্ত্রীর নানা কর্মসূচির টানে আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় মহিলা ভোটাররা আমাদের দলে এসেছেন। তাঁদের সাংগঠনিক নেটওয়ার্কে নিয়ে আসতে এবার বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।"
প্রশ্ন-উত্তর শীর্ষক যে বিশেষ কর্মিসভা করা হবে সেখানে রাজ্য কমিটি থেকে সিনিয়র তৃণমূল মহিলা নেত্রীরা উপস্থিত থাকবেন বলে চন্দ্রিমা জানান। এদিনের বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন দুই বিধায়ক স্মিতা বক্সি, মালা সাহা, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ প্রমুখ।