ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ধর্ষকদের সমর্থন করে বিজেপি। গেরুয়া শিবির নারীবিদ্বেষী। মহিলাদের সম্মান করে না। এমন অভিযোগ তুলেই এবার বিজেপির বিরুদ্ধে বাড়ি বাড়ি প্রচার অভিযান শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান তথা বঙ্গ বিজেপির কো-ইনচার্জ অমিত মালব্য তাঁর আইটি সেলে ধর্ষকদের চাকরি দিয়েছেন। অর্থাৎ যৌন হেনস্তায় অভিযুক্তদের রীতিমতো মদত দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অথচ ধর্ষণকারীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্যও করেননি অমিত মালব্য। কোনও পদক্ষেপও করা হয়নি। শুধু তাই নয়, যেভাবে গুজরাট সরকারের মদতে বিলকিস বানোর ধর্ষকরা মুক্তি পেয়েছিল, সেই বিষয়টিও তুলে ধরে সরব হয় বাংলার শাসক দল। আর লোকসভা নির্বাচনের আগে একেই হাতিয়ার করে ময়দানে নামছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: ফের হাসপাতালে মদন মিত্র, কেমন আছেন কামারহাটির বিধায়ক?]
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ধর্ষকদের নিয়োগ করেছেন অমিত মালব্য। অথচ এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর কোনও মন্তব্য না করেই তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে মালব্যকেই সমর্থন করছেন তাঁরা। এই ‘ধর্ষক’ বিজেপির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা হবে। একদিকে যেমন উত্তরপ্রদেশের মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়ে সোচ্চার হবেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা, তেমনই বিলকিস বানোর সঙ্গে বিজেপি সরকার যে অন্যায় করার চেষ্টা করেছিল, সেই বিষয়টিও তুলে ধরা হবে।
উল্লেখ্য, বিলকিস বানো মামলায় সম্প্রতি মুখ পুড়েছে কেন্দ্র ও গুজরাট সরকারের। গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্ত খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার আইনি এক্তিয়ারই নেই গুজরাট সরকারের। ফলে ধর্ষকদের আবার জেলে ফিরতে হয়। একদিকে যখন গঙ্গাসাগরগামী সাধুদের মারধর নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি, তখন অন্যদিকে তৃণমূলের হাতিয়ার ধর্ষণ কাণ্ডে গেরুয়া শিবিরের অবস্থান।