সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ হাতিয়ারে শান? নিজের সংসদীয় এলাকার কমপক্ষে ৭০ হাজার বৃদ্ধাকে সাধ্যমতো বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার ঘোষণা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর এই ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর আলোচনা।
শুক্রবার ফলতার বস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, “গত এক-দেড় মাস ধরে আমি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকার প্রশাসনের কাছে খবর নিয়েছি। জেনেছি ৭০ হাজার মানুষ দুয়ারে সরকার শিবিরে নতুন করে বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার জন্য নাম লিখিয়েছেন। তাঁদের আমরা আমাদের সাধ্যমতো বার্ধক্য ভাতা দেব। সরকার যবে দেবে দিক। তার আগে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আমরা আমাদের সাধ্যমতো বার্ধক্য ভাতা পৌঁছে দেব। ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় এক থেকে দেড় লক্ষ তৃণমূল কর্মী রয়েছেন। তাঁদের থেকে সাহায্য নিয়ে বার্ধক্যভাতা দেওয়া হবে। এটাই ডায়মন্ড হারবার মডেল। কারও যদি গায়ে লাগে, তা হলে কিছু করার নেই।”
[আরও পড়ুন: ‘কৃষ্ণনগর থেকেই দাঁড়াব’, সোশাল মিডিয়ায় হুঙ্কার মহুয়ার, টিকিট পাবেন তো?]
এই ঘোষণার ফাঁকে বিরোধী নেতানেত্রীদের কটাক্ষও করেন। অভিষেকের কথায়, “এটাই জনপ্রতিনিধির কাজ। জনপ্রতিনিধির কাজ মানুষে মানুষে বিভাজন করা নয়। টাকা নিয়ে সেটিং করা নয়। বরং নিজের জীবন বিপন্ন করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো।” কোভিড কাল থেকেই সাড়া ফেলেছিল ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’। সেই সময়ের ‘সাফল্যে’র কথাও উল্লেখ করেন অভিষেক। বলেন, “২২ শতাংশ সংক্রমণের হারকে ১০ দিনে দুই শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম। এক দিনে ৫০ হাজার টেস্ট করিয়েছিলাম। সারা ভারতে কেউ পেরেছে? বাংলা তো ছেড়ে দিন।” শুধু তাই নয়, সেই সময় মানুষের পাশে ঠিক কীভাবে দাঁড়িয়েছিলেন, সেকথাও জানান অভিষেক। তবে আচমকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা নিয়ে ইতিমধ্যেই ওয়াকিবহাল মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। এভাবে আদতে লোকসভা ভোটের আগে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলেই দাবি বিরোধীদের।