সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় যান, নিজের চোখে বাংলার উন্নয়ন দেখে নিন। তারপর ভোট দিন। ত্রিপুরার পর মেঘালয়ের (Meghalaya) ভোটপ্রচারেও বাংলা মডেলকে হাতিয়ার করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার গারোর জনসভা থেকে তাঁর প্রত্যয়ী ঘোষণা, বাংলায় পেরেছি, মেঘালয়েও পারব।
ত্রিপুরার প্রচারপর্ব শেষ। তৃণমূল তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নজর এখন মেঘালয়ে। এরাজ্যের শাসকদল মেঘালয়ে ক্ষমতা দখলের বাস্তব সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে। চারদিন ধরে সেরাজ্যে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে অভিষেকের। মূলত গারো পাহাড়ি এলাকাকে টার্গেট করছেন তিনি। আসলে মেঘালয়ে তৃণমূলের প্রধান মুখ মুকুল সাংমার (Mukul Sangma) ভাল প্রভাব রয়েছে গারোতে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে অভিষেকের কর্মসূচিগুলিতেও ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মানুষের সাড়া পেয়ে অভিষেক ঘোষণা করে দিচ্ছেন, গারো পাহাড়ে ক্ষমতাসীন এনপিপি (NPP) একটি আসনও পাবে না।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতকে খাটো করার ষড়যন্ত্র’, বিবিসি বিতর্কের মাঝে সাদ্দাম প্রসঙ্গ টেনে সরব ধনকড়]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই মেঘালয়ে গিয়ে ঘোষণা করে এসেছেন সেরাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে বাংলার সব সামাজিক প্রকল্প চালু হবে। অভিষেক নিজে মেঘালয়ের জন্য তৃণমূলের সংকল্পপত্র প্রকাশ করেছেন। এদিনের সভা থেকে তিনি অভিযোগ করেছেন, পাঁচ বছর মেঘালয়ের এনপিপি সরকার মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। তাতে মানুষের ভাঁড়ারে শূন্যতা ছাড়া আর কিছুই নেই। অভিষেক বলছেন, এই শূন্যতাকে বিশ্বাস না করে, প্রতিজ্ঞাকে বিশ্বাস করুন।
[আরও পড়ুন: বিজেপির উপর খাপ্পা কাশ্মীরি পণ্ডিতরাই! শ্রীনগরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অশান্তি]
মেঘালয়ের সব সভাতেই অভিষেক কমবেশি সীমান্ত সমস্যাকে হাতিয়ার করছেন। সেরাজ্যের এনপিপি সরকারকে ‘দুর্বল’ এবং বিজেপির মুখাপেক্ষী বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। এদিনের জোড়া সভাতেও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বক্তব্য ছিল, “এই নির্বাচন শুধু শাসক বেছে নেওয়ার ভোট নয়। এটা শাস্তি দেওয়ার ভোট। সেই দুর্নীতিগ্রস্ত এনপিপি সরকারকে শাস্তি দেওয়ার ভোট, যারা আপনাদের জন্য মাথা উঁচু করে লড়াই করতে পারে না। মেঘালয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না।” অভিষেকের বক্তব্য, “মেঘালয়ের এখন সত্যিকারের নেতার প্রয়োজন। বিজেপির তোতাপাখির দরকার নেই। এমন কোনও নেতার দরকার নেই, যিনি গুয়াহাটি এবং দিল্লির চাপে মাথা নুইয়ে ফেলবেন। এমন কোনও নেতার দরকার নেই, যার মেরুদন্ড নেই। মেঘালয়ের মানুষের কথা না ভেবে বিজেপির কাছে নতজানু হয়, এমন নেতার দরকার নেই।”