সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দীর্ঘ সাড়ে আট ঘণ্টা ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজে একইরকম দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাস। ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়েই বলে দিলেন, “আজও আমি আমার বক্তব্যে অনড়।” একই সঙ্গে দিল্লিতে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তোপ দাগতেও ছাড়লেন না অভিষেক।
সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আমাকে ডেকে পাঠানো হল। সেপ্টেম্বরে এসেছিলাম। তখনও সাড়ে ৮ ঘণ্টার উপর জেরা করা হয়েছিল। আজও তাই হল। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। আমায় টানা প্রশ্ন করা হয়েছে। বেশ কিছু জিনিসের ব্যাখ্যা চেয়েছেন আধিকারিকরা। কাগজপত্রও চেয়েছেন। আগে যা যা নথি চেয়েছিলেন, দিয়েছিলাম। এবারও দেব। তবে কিছু কাগজ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে হবে। সব পাঠিয়ে দেব। আমার চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ডাক্তার বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও আমি এসেছি। আগামী দিন ডাকলে আবার আসব।”
[আরও পড়ুন: পুরনোতেই আস্থা, গোয়া-উত্তরাখণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা বিজেপির]
কয়লা ও গরুপাচার সংক্রান্ত যে অভিযোগে তাঁকে তলব, তা নস্যাৎ করে দিয়ে অভিষেক বলেন, গরু কি একটা ছোট্ট পতঙ্গ নাকি! এতবড় প্রাণীটা পাচার হলে বিএসফ কী করছিল? খনি ও সংলগ্ন এলাকা কাদের নজরদারিতে থাকে, সে প্রশ্ন তুলে সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেই কাঠগড়ায় তুললেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
[আরও পড়ুন: বড়সড় বাণিজ্যচুক্তি, ফেরানো হবে ঐতিহাসিক সামগ্রী, বৈঠকে মোদিকে কথা দিলেন অজি প্রধানমন্ত্রী]
অভিষেকের অভিযোগ, শুধুমাত্র হেনস্তা করার জন্যই কলকাতায় দপ্তর থাকতেও তাঁকে বারবার দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। উপনির্বাচনের আগে ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলো করছে বিজেপি। দিল্লি হাই কোর্টে অভিষেকের মামলা খারিজ হয়েছে। তবে তিনি সুবিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই বিষয়ে এদিনই শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই বিষয়েই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেকপত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করেছে ইডি। তবে মঙ্গলবার তিনি মুখোমুখি হবেন না ইডির।