shono
Advertisement

Abhishek Banerjee: ‘ঢিল ঠিক জায়গায় পড়েছে’, বিচারব্যবস্থা ইস্যুতে রাজ্যপালকে ফের খোঁচা অভিষেকের

অভিষেকের নিশানায় প্রধানমন্ত্রীও।
Posted: 05:41 PM May 30, 2022Updated: 06:12 PM May 30, 2022

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শ্যামনগরের সভা থেকে রাজ্যপালকে খোঁচা অভিষেকের। তাঁর কটাক্ষ, “ঢিল ঠিক জায়গায় পড়েছে।” এদিনের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে বাংলার দলবদলু, সকলেই একযোগে নিশানা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। একইসঙ্গে বঙ্গ বিজেপিতে আরও ভাঙনের ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন তিনি।

Advertisement

২০১৯ সালের ৩০ মে বারাকপুরে সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)। সেই সময় তৃণমূলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল। দল ছাড়ছিলেন একের পর এক নেতা-কর্মী। ঠিক তিন বছর বছর পর বারাকপুরে র্দোদণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) ঘর ওয়াপসি হয়েছে। তার পরই সেই ৩০ মে শ্যামনগরে সভা করলেন অভিষেক। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপিতে আরও ভাঙনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তিনি। বললেন, “অনেক গদ্দার মীরজাফররা আছে। আমি দরজা বন্ধ করে রেখেছি। তাই চাপে আছে। দরজা খুলে দিলে দলটা উঠে যাবে। ছোট থেকে বড় এমন নাম আছে তাঁদের নাম বললে তর্ক শুরু হয় যাবে।” একইসঙ্গে অর্জুনের উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা, “অর্জুন সিং বুঝেছেন বিজেপিতে যাওয়া আর খাল কেটে কুমীর আনা এক।”

[আরও পড়ুন: মানবিক অভিষেক! সভায় আসা মহিলা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ায় দ্রুত চিকিৎসার নির্দেশ]

দিন দুয়েক আগে হলদিয়ার সভা থেকে বিচারব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তা নিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এমনকী, মুখ্যসচিবকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এদিনের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যপালকে পালটা খোঁচা দিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee) বললেন,”রাজ্যপাল বলেছেন, আমি সীমারেখা অতিক্রম করেছি। আমি কী বলেছি? বিচারব্যবস্থায় ৯৯% খুব ভাল। কিন্তু ১ শতাংশ সরকারি আধিকারিকের কথায় কাজ করছে। আমি বিচারব্যবস্থা নিয়ে বললাম। আর রাজ্যপাল জবাব দিচ্ছেন। ঢিল তাহলে ঠিক জায়গায় পড়েছে।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যপালকে তো আমি কিছু বলিনি। তোমার গায়ে লাগছে কেন? ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাইনি।”  এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিচারব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রী মন্ত্রী, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের মন্তব্যের উল্লেখও করেন তৃণমূল নেতা।

সিবিআই-ইডি নিয়েও সরব হন অভিষেক। তাঁর প্রশ্ন, “কথায়-কথায় এজেন্সি, রাজ্যপালের পদ চেয়ার ব্যবহার করে। হেরে যাওয়ার পর চারজন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার। কেন তোমার নারদার নায়ক, যাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁকে ছাড়া কেন?” অভিষেকের কটাক্ষ,  “এই যে মদন মিত্র বসে। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে বসেছিল বলে তিন বছর জেল। নীরব মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বসেছিল। তিন বছর জেল হবে না কেন?” 

[আরও পড়ুন: জুনের প্রথম সপ্তাহেই মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ, দিনক্ষণ ঘোষণা পর্ষদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার