সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, দুর্গাপুর: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। ভিত্তিহীন দাবি, ওই মহিলা নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত, পালটা অভিযোগ করলেন ব্লক সভাপতির। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূলের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা।
বুদবুদ থানার কোটা এলাকায় রয়েছে 'কোটা মহিলা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড' স্বনির্ভর গোষ্ঠী। সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উপর নানাভাবে প্রভাব খাটানো, খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের আউশগ্রাম ২ ব্লক সভাপতি শেখ আবদুল লালনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরেই ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে আদালতে এবং বুদবুদ থানার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মহিলারা।
[আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের ডাক, রাজ্যজুড়ে আলুর জোগানে টান]
ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদক বলে দাবি করে ইস্মাতারা বিবি মণ্ডল অভিযোগ করেন, "স্বনির্ভর গোষ্ঠী সংক্রান্ত কাজের জন্য একদিন ব্যাঙ্কে যেতে পারিনি। সেই দিনই শেখ আবদুল লালন প্রকাশ্যে মারধরের হুমকি দেয়। দলের কর্মীদের দিয়েও আমাকে শাসানো হয়। এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। আমাকে সরিয়ে অন্যদের দিয়ে এখন গোষ্ঠী চালানো হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই হুমকি জোটে। ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছি। সেই আতঙ্কেই আমি বুদবুদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।" পুরো অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে আউশগ্রাম ২ এর ব্লক সভাপতি শেখ আবদুল লালন পালটা অভিযোগ তুলে বলেন, "দুর্নীতির সাথে ওই মহিলা যুক্ত। কখন কোন দলে থাকে নিজেরই ঠিক নেই। দলকে কালিমালিপ্ত করতেই আমার নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।"
কোটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আলাউদ্দিন খাঁ বলেন,"মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের স্বনির্ভর করার চেষ্টা করছে তার পরেও এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। দলের যারা উচ্চ নেতৃত্ব আছে তাঁদের এই সমস্যার সমাধান করে দেওয়া দরকার।" সমালোচনায় সরব হয়ে বর্ধমান সদরের বিজেপির সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন,"এরা তো নেতা নয়, এরা গুন্ডা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে মিছিলে কোমরে বন্দুক খুঁজে হাঁটছেন এই ধরণের তৃণমূলের নেতারা। আউশগ্রাম জুড়েও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শেখ আবদুল লালন।"