shono
Advertisement

তৃণমূলের যুব নেতাকে বেধড়ক মারধর, খুনের হুমকি, হাওড়ায় কাঠগড়ায় ‘বিজেপি’কর্মী

ধৃত অভিযুক্ত-সহ মোট ২।
Posted: 11:47 AM Jan 29, 2023Updated: 11:47 AM Jan 29, 2023

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: তৃণমূলের (TMC) যুব নেতাকে বেধড়ক মারধর ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হাওড়ার নাজিরগঞ্জ এলাকা। অভিযোগ, ৫০-৬০ জনকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের যুব নেতার বাড়িতে চড়াও হয় অভিযুক্ত। বন্দুক দেখিয়ে খুনের হুমকি দেয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত-সহ মোট দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও বিজেপির দাবি, এটা তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০২১-এর বিধান সভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন হাওড়া পুরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন মেয়র পারিষদের স্বামী মাসুদ আলম খান ওরফে গুড্ডু খান। নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর এলাকায় নিজের জায়গা ফিরে পেতে তৃণমূলের ফেরার চেষ্টা করছিলেন গুড্ডু। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল হাওড়ার তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিকে ২০২১ সালে নিজের বাড়ির সামনেই বাড়ির সামনে রহস্যজনক ভাবে খুন হন এলাকার জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা তথা গুড্ডুর দাদা ওয়াইজুল খান। সেই খুনের ঘটনাতেও গুড্ডুর নাম জড়িয়েছিল। কিন্তু প্রমাণের অভাবে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

[আরও পড়ুন: ২৯ জানুয়ারি-৪ ফেব্রুয়ারির Horoscope: কেমন কাটবে আপনার এই সপ্তাহ, জেনে নিন রাশিফলে]

এদিকে ওয়াইজুলের মৃত্যুর পর দল তাঁর বড় ছেলে আরিফ খানকে ৪৫ নম্বর ওর্য়াডের যুব তৃণমূল সভাপতি নির্বাচিত করে। পাশাপাশি ওয়াইজুলের স্ত্রীকে ৪৫ নম্বর ওর্য়াডের মহিলা সভানেত্রী পদে নির্বাচিত করে। এরপরেই গুড্ডুর বিরুদ্ধে দাদার পরিবারকে খুনের হুমকি ও এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ উঠতে শুরু করে। অভিযোগ, নিজের দাদার বাড়িতে দলবল নিয়ে সশস্ত্র আক্রমণ করে গুড্ডু। গুলি চালিয়ে দাদার পরিবারের সদস্যদের খুনের চেষ্টার পাশাপাশি বেধড়ক মারধর ও বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর চালা তারা।

পুলিশের দাবি, এলাকার নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতেই শনিবার রাতে ৫০-৬০ জনের বাহিনী নিয়ে দাদার পরিবারের উপর আক্রমণ চালায় গুড্ডু। পরে পুলিশ অভিযোগ পেলে রাতেই নাজিরগঞ্জের একসময়ের ‘বেতাজ বাদশা’ গুড্ডু ও তাঁর শ্যালক পুরসভার পদস্থ কর্মী চাঁদ মহম্মদকে গ্রেপ্তার করে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

যদি স্থানীয় বিজেপি নেতা উমেশ রাই জানিয়েছেন, “এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এলাকায় নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে তৃণমূলের যুব নেতা হামলা চালিয়েছে দলেরই বড় নেতা। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।”

[আরও পড়ুন: লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কার মধ্যেই রাহুলকে ‘৬২ নিয়ে কটাক্ষ জয়শংকরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement